সংক্রমণ শুরুর এক বছর পর কোভিডের উত্পত্তিস্থল খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার চিনে হু-এর বিজ্ঞানীরা
চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, হু-এর বিজ্ঞানীরা চিনের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথভাবে করোনা অতিমহামারী নিয়ে গবেষণা করবেন

পল্লবী কুন্ডু : গতবছর-এর প্রথম থেকে ভারতে নিজের আধিপত্য চালাতে শুরু করেছিল কোভিড-১৯(COVID-19)। বিশ্বজুড়ে নেমে এসেছিলো এক কালো ছায়া। চিন থেকেই উৎপত্তি এই অতিমারী করোনার। তবে এবার সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার চিনে যাচ্ছেন হু(World Health Organization)-র ১০ জন বিজ্ঞানী। তাঁরা করোনার উত্পত্তিস্থল পরীক্ষা করে দেখবেন। এর আগে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে, করোনার উত্পত্তি নিয়ে গবেষণায় বাধা দিচ্ছে চিন। এই পরিস্থিতিতে চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন(National Health Commission) জানিয়েছে, হু-এর বিজ্ঞানীরা চিনের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একসাথে করোনা অতিমহামারী নিয়ে গবেষণা করবেন। জানুয়ারির শুরুতেই হু-এর বিজ্ঞানীদের চিনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চিন তাঁদের অনুমতি দিয়েও পরে আসতে নিষেধ করে।
অন্যদিকে, হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল তেদ্রোস আধানোম ঘেব্রেইসাস বলেন, ‘চিন সরকার যেভাবে বিজ্ঞানীদের সেদেশে যাওয়ার অনুমতি বাতিল করে দিয়েছে, তাতে তিনি খুবই অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তবে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইয়াং বলেন, একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। চিনে যাওয়ার পরে হু-এর বিজ্ঞানীদের দু’সপ্তাহ কোয়ারান্টাইন করে রাখা হবে। পরে তাঁরা যাবেন উহানে। সেখানেই প্রথমে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তবে এই পরিস্থিতিতে যে প্রশ্ন উঠছে তা হলো, যখন গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনায় প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছেন। তখন এতদিন পর কেন তৎপর হলো হু ? এতদিন কেনইবা নির্বাক ভূমিকা পালন করছিলেন তারা ?
তবে এই মুহূর্তে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ ভারতে। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৬ হাজার ৩১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন, পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে ১৬১ জনের। আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৫ জন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ হাজার ৯৫৯ জন। ভারতে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৯২ হাজার ৯০৯ জন। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৯৬.৪৩ শতাংশ। অর্থাত্ এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ২২ হাজার ৫২৬ জন।