নেতাদের বাগ যুদ্ধে হতাশা বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের জনতা জনার্দন
কি হবে বড় কথা বলে , এখন আর ভোট নেই। তাই নেতাদের ভাষণে বিশ্বাস করছে না কেও। হাতে নাতে ফল দরকার।

নিউজ ডেস্ক : অনেকেই জানতেন বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনে ফের ফাটলের ঘটনা । বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে শেষের ৩ বছর। এত অবহেলা কেন প্রশ্ন অনেকেরই। গতকাল সকাল থেকে বাড়তে শুরু করে ফাটল। ২-৩ দিন ধরেই কাঁপছিল বাড়ি, দাবি স্থানীয়দের। দেওয়াল-বাড়ির মেঝে সবই কাঁপছিল। দ্রুত বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন সবাই। টানেল বোরিং মেশিন বের করার পর কি এই অবস্থা? মাটি খোঁড়া হচ্ছিল, টানা বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে এই পরিস্থিতি?প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বাড়িছাড়া পরিবারগুলিকে অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সূত্রে খবর, এ পর্যন্ত ৭৪ জনকে সরানো হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বাকি বাসিন্দাদেরও সরানো হবে বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বউবাজারে দুর্গা পিতুরি লেনে পুলিশ ও দমকল। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের সাময়িকভাবে অন্যত্র সরে যাওয়ার অনুরোধ পুিলশের। এ নিয়ে মাইকে প্রচারও করা হচ্ছে।
এই সমস্যা শেষের আড়াই-তিন বছরের ব্যবধান ফের ফাটল আতঙ্ক ফিরল বউবাজারে। মেট্রো প্রকল্পের পাশে একাধিক বাড়ি ছাড়াও এবার ফাটল ধরেছে রাস্তায়। আতঙ্কে রাস্তায় নেমে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়ি খালি করার জন্য মাইকিং করা হয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মেট্রো রেলের আধিকারিকরা। কিন্তু কোথায় যাবেন এই অঞ্চলের বাসিন্দারা। কে দেবে তার উত্তর। প্রশ্নের সামনে সব পক্ষ চুপ।
রাজ্যের উন্নয়ন হোক , কিন্তু মানুষ মেরে। অনেক আলোচনা , বড় বড় কিমিটি আর তাতে অনেক পন্ডিতের উপস্থিতি , সব মিলিয়ে ২০১৯-র অগাস্টের পর ২০২২-র মে। ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। এবারও ঘটনাস্থল বউবাজারে সেই দুর্গা পিটুরি লেন। ২০১৯ সালে মেট্রোর কাজ চলাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ৪০ বাড়ি। পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক ছিল যে, বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে ফেলতে হয়। ঘরবাড়ি ছেড়ে অস্থায়ী ঠিকানায় যেতে হয় বাসিন্দাদের।
আজ সকালে বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ দুর্গাপুরে এক চা চক্রে এসে বলেন, “মেট্রো রেলের জন্য যে ফাটল তাতে মেট্রো রেল দায়ী নয়। তৃণমূল নেতারা রুট পাল্টে বউবাজার দিয়ে ঘুরিয়ে দিয়েছে জোর করে। তাই বারবার এই ঘটনা ঘটছে। কলকাতার মানুষকে পাতাল প্রবেশের আগে ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে।” এই বক্তব্যকেও নিন্দার চোখে দেখছেন রাজনৈতিক মহল।
পাশাপাশি এলেন অঞ্চলের পুরোপিত বিস্বরূপ দে , তারপরই এলেন অঞ্চলের বাসিন্দা ও বিধায়ক তাপস রায় সঙ্গে রাজ্যের নগরউন্নয়ন মন্ত্রী ও কোলকাতার মেয়র। সমস্যা শুনলেন , বললেন তদন্ত করবেন কলকাতা কর্পোরেশন ও পুলিশ। সবই হল বললেন না এনারা কোথায় যাবেন। কিভাবে ফিরে পাবেন তাদের একচিলতে সুখের নির।
পরম পবিত্র কর্তব্য সারলেন পুলিশ মাইকিং করে বাড়ি খালি করতে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের। ফেকাসে মুখে হতাশ জনতা জনার্দন।