দূষণ মুক্ত শহর গড়তে আরো তৎপর নিউটাউন
নিউটাউনে মিলবে সাইকেল স্ট্যান্ড, মিলবে খাবার, মিলবে মোবাইল চার্জার
পল্লবী কুন্ডু : এবার শহরের অন্যতম উন্নত জায়গায় মিলছে আরো সুযোগ সুবিধা। সম্প্রতি সাইকেল আরোহীদের কথা মেনে রাজ্য সরকার অনুমতি দিয়েছে বড়ো রাস্তাতেও সাইকেল নিয়ে বেরোনোর। তবে আলাদা ভাবে নির্দিষ্ট করা থাকবে লেন। আর এবার নিউটাউনেও আরও বেশি তৈরি করা হচ্ছে সাইকেল লেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এবং পরিবেশ দূষণ কমাতেই এই উদ্যোগ। এ জন্য তৈরি করা হচ্ছে সাইকেল স্ট্যান্ড। খুব শিগগিরই সেখানে অ্যাপ-ভিত্তিক সাইকেল পরিষেবা ফের চালু করা হবে।
সাইকেল রাখার জন্য নিউ টাউনে প্রথম পর্যায়ে ২০টি সুদৃশ্য স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ছাউনি রয়েছে। ফলে রোদ-জলে সাইকেলের কোনও ক্ষতি হবে না। ধাপে ধাপে স্ট্যান্ডের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। নিউ টাউনের জনবহুল জায়গা, বাজারের কাছাকাছি সাইকেল লেন, স্ট্যান্ড তৈরি করা হচ্ছে। যাতে মানুষ সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করতে পারেন। এই স্ট্যান্ডে যে কেউ সাইকেল রাখতে পারবেন। মানে এখানে যে শুধু অ্যাপ-ভিত্তিক সাইকেল রাখা যাবে, তেমন নয়। জায়গা থাকলে যে কোনও সাইকেলচালক তাঁর সাইকেল রাখতে পারবেন। এর জন্য কোনও টাকা নেওয়া হবে না। থাকবে কড়া নজরদারির ব্যবস্থাও। ফলে সাইকেল রেখে নিশ্চিন্ত মনে অন্য কোথাও যাওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি ওই স্ট্যান্ডে খাবার বিক্রিরও পরিকল্পনা রয়েছে। মোবাইল চার্জেরও ব্যবস্থা থাকছে।
অন্যদিকে, হিডকো সূত্রে খবর এখন নিউ টাউনের প্রায় ২৯ কিলোমিটার রাস্তায় সাইকেল লেন রয়েছে। ওই লেন দিয়ে শুধুমাত্র সাইকেল যেতে পারবে। তা আরও বাড়ানো হচ্ছে। যাতে নিউ টাউনের আরও বেশি অংশে সাইকেলে করে যাতায়াত করা যেতে পারে। এ জন্য ইঞ্জিনিয়ার, স্থাপত্যবিদদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। কারণ সাইকেল চালকদের নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখতে চায় না হিডকো। সাইকেল লেনে অন্য কোনও গাড়ি যাতে চলে না আসে, সে ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। মানুষ যাতে আরও বেশি সাইকেল ব্যবহার করেন, সে ব্যাপারে তাঁদের সচেতন করা হবে।
যদি গোটা শহরেই এমন ব্যবস্থা চালু করা যেত তবে অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা মিলতো বলেই জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কর্তারা, যেমন মানা সম্ভব হতো সামাজিক দূরত্ব তেমনি কমতো পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা। কিন্তু শহরের এত ব্যাস্ততায় গোটা শহরবাসী কি কখনো সাইকেল নির্ভর হতে পারবেন ?