দেওয়ালিতে তেলঙ্গানায় দু ঘন্টার গ্রিন ক্র্যাকারে নিষেধাজ্ঞা নেই, বয়ান সুপ্রিম কোর্টের
যে বাজিগুলি অপেক্ষাকৃত কম দূষণ সৃষ্টিকারী, সেই গ্রিন ক্র্যাকার ফাটানো যাবে এবং তা বিক্রি ও হবে
পৃথা কাঞ্জিলাল : এই দেওয়ালিতে পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে শব্দবাজি (Fire Crackers) সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরই মধ্যে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দেশ দিল, তেলঙ্গানায় দিনে দু’ঘণ্টার জন্য ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ বিক্রি করা ও ফাটানো যাবে। যে বাজিগুলি অপেক্ষাকৃত কম দূষণ সৃষ্টিকারী, সেগুলিকে গ্রিন ক্র্যাকার বলা হয়। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট তেলঙ্গানা সরকারকে আরো নির্দেশ দিয়েছে, গত ৯ নভেম্বর ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল বাজি ফাটানো নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
গত ৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করেন, এই বছর কোভিডের কারণে সংযত হয়ে পালন করতে হবে আলোর উত্সব। তিনি বলেন, ‘এবার কালীপুজোয় বাজি ফাটানো বা পোড়ানোর ক্ষেত্রে দূরে সরবেন অনেকেই। আমি বলব, বাজি পোড়ানোর দিকে যাবেন না। সবরকম বাজি এড়িয়ে চলতে হবে। নিষিদ্ধ বাজি তো ব্যবহার করবেন না । এটা রাজ্যবাসীর কাছে আমাদের আবেদন।’ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আরও মনে করিয়ে দেন, নিজেদের আনন্দ যেন অন্য কারও নিরানন্দ না হয় কারণ এ বছর কোভিডের কারণে অনেকেই হোম আইসোলেশনে আছেন, অনেকে অসুস্থও। সেখানে বাজির শব্দ বা ধোঁয়া যে তাঁদের বিপদ বাড়াবে, গত ৫ নভেম্বর কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাইকোর্টের গ্রিন ট্রাইব্যুনাল।
পরিবেশ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কালীপুজো থেকে ছট পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে না। বিক্রিও করা যাবে না বাজি। এদিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার বিষয়টি পুলিশকে দেখতে হবে। দুর্গাপুজোয় মণ্ডপগুলি যেমন নো এন্ট্রি জোন করা হয়েছিল, কালীপুজোর ক্ষেত্রেও রয়েছে সেই এক ই নির্দেশ। কিছুদিন আগেই রাজস্থান সরকার দেওয়ালিতে বাজি নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেছিলেন, এবার বাজি পোড়ালে তা হবে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া। তাই মানবিকতা র দিক দিয়ে এই বছর সবাইকে বাজি থেকে দূরে থাকতে বলছেন আদালত। শুধু আলো দিয়ে ই হোক এই বছরের দীপাবলি।