কোনোরকম উপসর্গ নেই কিন্তু রিপোর্ট পজেটিভ, চিন্তা বাড়াচ্ছে দিল্লি মেট্রো
উপসর্গ হীন ভাবে দিল্লি মেট্রোর অন্তত ২০ জন কর্মীর শরীরে ভাইরাস
পল্লবী : এ বিপদের আঁচ আগেই দিয়েছিলেন স্বাস্থমন্ত্রক। আর তা হলো, করো উপসর্গ ছাড়াই টেস্টের রিপোর্ট পজেটিভ। আর এবার তা নিয়েই বাঁধলো ঘোর বিপত্তি। দিল্লি মেট্রোর অন্তত ২০ জন কর্মীর শরীরে ভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ল। এই সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন। কারণ সংক্রামিত রোগীদের দেহে করোনার কোনো রকম উপসর্গের দেখা মেলেনি এর ফলে তাদের সাথে মিশেছে বহু সংখ্যক মানুষ। এর ফলে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই অনুমান করা যাচ্ছে। সকলেই ‘অ্যাসিম্পটোমেটিক’ বা রোগের লক্ষণহীন বলে জানিয়েছে ডিএমআরসি।
শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে ডিএমআরসি-র তরফে জানানো হয়েছে, সংক্রামিতদের চিকিত্সা চলছে। তাঁদের অনেকের অবস্থাই স্থিতিশীল। কোভিড সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মেট্রো রেল পরিষেবা শুরুর আগে সব কর্মীরই কোভিড টেস্ট করা হবে। তিনি আরো জানিয়েছেন, জাতীয় রাজধানী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেই মূলত সংক্রমণ ধার পড়েছে। তবে সকলেই সুরক্ষিত এবং সেরেও উঠছেন ধীরে ধীরে। ডিএমআরসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডক্টর মাঙ্গু সিং জানিয়েছেন, মেট্রো রেলের সব কর্মীকেই সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংয়ের নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে। স্যানিটাইজিংয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
মে মাসে দিল্লি মেট্রো রেলের তরফে একটি ছবি টুইট করে দেখানো হয়েছিল, পরিষেবা চালুর পরেও কীভাবে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে ট্রেনে বসতে হবে। ছবিতে দেখা গিয়েছিল দুটি সিটের মাঝে দুরত্ব বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাত্ প্রথম সিটের পরে তৃতীয় সিটে বসা যাবে। কিন্তু গণপরিবহনে হাজার চেষ্টা করেও সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভবনা খুবই কম। কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন, কোথা থেকে কিভাবে তা বোঝার সাদ্ধী কারোর নেই। এই মুহূর্তে বিশেষজ্ঞদের অনুমান যে, এই পঞ্চম দফার নয়া লকডাউনে সংক্রমের হার হু হু গতি তে বাড়বে।