পল্লবী কুন্ডু : আজকের যুগে দাঁড়িয়ে এখনো কি এমন চিন্তাধারার মানুষ মেলে যারা সমাজের অবনতি সহ্য করতে না পেরে নিজেই আত্মঘাতী হয়। হ্যাঁ সত্যিই এমনটাই ঘটেছে। সমাজের এমন অবনতি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলো না এই কিশোরী। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এমন দুর্নীতি তাকে মানসিক দিক থেকে পিষে দিচ্ছিলো। শেষপর্যন্ত হার মেনে নেয় সে। ১৪ অগাস্ট রাতে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। মৃত্যুর আগে ১৮ পাতার একটি সুইসাইড নোট লিখেছে ওই কিশোরী এবং সেই নোট প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার ইচ্ছেও প্রকাশ করে সে। বরং বলা যেতে পারে যে, মনের এই কথা গুলো হয়তো প্রধানমন্ত্রীকেই বলে যেতে চেয়েছিলো সে।
আর পাঁচটা ছেলে-মেয়ের মতো নয় সে। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, দুর্নীতি, দূষণ, বৃক্ষছেদন-সহ নানা বিষয় নিয়ে অত্যন্ত বিচলিত থাকত সে। কোনো বয়স্ক মানুষকে নির্যাতিত হতে দেখলে তার বুক কষ্টে ফেটে যেত। টিভিতে এরূপ কোনো খবর দেখলে নিজেকে ঠিক রাখতে পারতোনা সে। ১৮ পাতার ওই সুইসাইড নোটে কিশোরী দীপাবলির রাতে বাজি পোড়ানো নিয়েও তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এমনকি হোলির সময় ব্যবহৃত রাসায়নিক যুক্ত রংও যাতে তৈরি, বিক্রি এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করা হয়, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিল।সমাজের এই কদর্যরূপ সে আর মেনে নিতে পারছিলো না এবং শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথই বেঁচে নেয় ওই কিশোরী।
গুন্নাউরের স্টেশন হাউজ অফিসার দেবেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ১৪ অগাস্ট নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয় তরুণী। ঘটনাস্থল থেকে রিভলভারটি উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে। তার মানসিক অবস্থা ঠিক কেমন ছিল সে বিষয়টিও দেখছে পুলিশ পাশাপাশি রয়েছে ওই ১৮ পাতার লম্বা সুইসাইড নোট। কিন্তু যে বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে যে ওই কিশোরীর কাছে রিভলভারটি এলো কোথা থেকে। সম্পূর্ণ বিষয় খুতিয়ে দেখছে পুলিশ।