করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে বাদুড়ের দু’টি প্রজাতির মধ্যেও
চমকে ওঠার মতো বিষয় হল একের বেশি ভাইরাস বহন করলেও বাদুড় নিজেই কোনওটাতে আক্রান্ত হয় না।
প্রেরনা দত্তঃ কোরোনাভাইরস এরই মধ্যে সারা বিশ্বে বিপদজনক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সোয়াইন ফ্লুর থেকে ১০ গুন্ ভয়ানক করোনা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হুর পরিসংখ্যান বলছে, করোনা সারা বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৪৮ জনের, আক্রান্ত হয়েছে ১৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ২১০। করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭৩০। বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে আমেরিকার।
এরই মধ্যে জানা গেছে ভারতের ৭টি রাজ্য থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইসিএমআর-এর গবেষণায় জানা গেল বাদুড়ের দুটি প্রজাতির মধ্যে করোনাভাইরসের হদিশ মিলেছে। এই তথ্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগেও বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছিলো যেমন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক কেইট জোনস বলেন, বাদুড় দীর্ঘক্ষণ ওড়ার ক্ষমতা রাখে এবং ডিএনএ’র ক্ষতি সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রেও অন্য পাখিদের চেয়ে তারা বেশি সক্ষম এমন কিছু প্রমাণ তারা পেয়েছেন। এদিকে প্রাণী সংরক্ষণবিদেরা পড়েছেন দোটানায়, তারা বলছেন বাদুড়ের মত প্রাণী যেমন ভাইরাসের বাহক আবার ইকো-সিস্টেম অর্থাৎ প্রতিবেশের জন্য বাদুড় অত্যাবশ্যক একটি প্রাণী।
২০০৩-০৪ সালে সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর চীনের বাজারে বন্যপ্রাণী বিক্রির ওপর একটি সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।কিন্তু অচিরেই চীন, ভিয়েতনাম এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে বন্যপ্রাণীর মাংস বিক্রি শুরু হয়।