চা-ই কি আপনার কাজের একমাত্র ভরসা ? যদি তাই হয় তাহলে সেই অভ্যেস কে এবার বিদায় জানান
অতিরিক্ত চা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক, তাই এবার বন্ধের পালা

পল্লবী কুন্ডু : চা (Tea)ভালোবাসেননা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। সারাদিনের ক্লান্তির পর এক কাপ চা হাতের সামনে পেলে সত্যিই সব ক্লান্তি ধুয়ে যায়। আর এখনতো রকম রকম ফ্লেভার নিয়ে হাজির আমাদের অবসরের সঙ্গী চা। চিনি ছাড়া লিকার চা, চিনি দেওয়া লিকার চা, দুধ চা। আদা বা মরিচ দেওয়া চা-ও আছে। এখন আবার মশলা চায়ের রমরমা চলছে। নিঃসন্দেহে বলা যেতেই পারে চা গোটা ভারতকে এক সূত্রে গেঁথে রেখেছে। এক কাপ সামনে এসে কিন্তু মশাই কথা তেই যে আছে অতিরিক্ত ভালোবাসা স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক।
কিন্তু সামনে এতটা প্রিয় হলেও, আমাদের শরীরের পক্ষে অতিরিক্ত চা যে কতটা ক্ষতিকারক তা আমরা ভুল করেও কখনো ভেবে দেখিনা। এমন ভাল একটা পানীয়েরও অনেক ‘সাইড এফেক্টস’ আছে। তাহলে চলুন আজ সে বিষয়েই একটু জেনে নেওয়া যাক। চায়ে প্রচুর ক্যাফিন থাকে। চায়ের ডাইইউরেটিক এফেক্ট-ও আছে, মানে, চা খেলে মূত্র নিঃসরণ বেড়ে যায়। ক্যাফিনে ঘুমের ব্যাঘাত হয়, ক্যাফিন উদ্বেগ বাড়ায়, হার্ট-রেট বাড়িয়ে দেয়, শরীরে ও মনে একরকম অস্থিরতা এনে দেয়।
অন্যদিকে, ক্যাফিন পাকস্থলীতে একধরনের অ্যাসিড তৈরির জন্যও দায়ী। যা হৃদযন্ত্রের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করে অতিরিক্ত চা পান। সেখানেও অবশ্য দায়ী ওই ক্যাফিনই। অন্তঃসত্ত্বা অতিরিক্ত চা পান করলে তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হয়। সে জন্য চা পানীয় হিসেবে আপাতভাবে নির্দোষ হলেও চিকিত্সকেরা প্রেগন্যান্টদের চা পান করতে নিষেধই করেন। চা-য়ে থিয়োফাইলিন নামের একরকম রাসায়নিক পাওয়া যায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী। আমরা অবশ্য অনেকেই চায়ে খেয়ে ওয়াশরুমে যাই, মনে করি, এতে পেট সাফা করতে সুবিধা হয়। কিন্তু ফল হয় উল্টো।
তাই এবার ক্লান্তি দূর করার এই পরম বন্ধুকে বিদায় জানানোর সময় এসে গেছে। সাবধান থাকুন চা থেকে।