ট্র্যাক্টর মিছিলে ছোড়া হলো কাঁদানে গ্যাস, তোলা হলো অস্থায়ী পাঁচিল
প্রতিবাদী কৃষকদের সাথে পুলিশের ধুন্ধুমার, ব্যারিকেড ভেঙে বচসায় লিপ্ত বিক্ষোভকারীরা

মধুরিমা সেনগুপ্ত: অনেকদিন ধরেই চলছিল আলোচনা, ভাবা হচ্ছিলো ট্র্যাক্টর মিছিল হলে কোনো অশান্তি হবে কিনা। আজ সেই আশংকায় সত্যি হলো। ব্যারিকেড ভেঙে বচসায় লিপ্ত হয়েছেন কৃষকরা। পুলিশরা বাধা দেয়া মাত্রই শুরু হয় ধুন্ধুমার। শুরুতেই ছোঁড়া হল কাঁদানে গ্যাস। নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই কুচকাওয়াজের আগে ব্যারিকেড ভেঙে কৃষকরা শুরু করে ট্র্যাক্টর মিছিল। একদিকে চলছিল ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ এবং অন্যদিকে নিধারিত সময়ের আগেই সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ সিঙ্ঘু সীমান্তে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন আন্দোলনরত কৃষকরা। ১২ টা নাগাদ ট্র্যাক্টর মিছিল করার কথা ছিল তাদের কিন্তু পুলিশি সূত্রের খবর অনুযায়ী কয়েক হাজার ট্র্যাক্টর নিয়ে সিঙ্ঘু সীমান্ত ভেঙে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল কৃষকরা।
টিকরি সীমানায় হাজার হাজার কৃষক ট্র্যাক্টর নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই মিছিল শুরু করে দিয়েছিলেন। সঞ্জয় গাঁধী ট্রান্সপোর্ট নগরে বিক্ষোভকারী কৃষকদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। সিঙ্ঘু সীমানার কৃষকরা ট্র্যাক্টর মিছিল নিয়ে সেখানে পৌঁছলে তাদের আটকাতে অস্থায়ী পাঁচিল তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন তিনটি নির্দিষ্ট পথে ট্র্যাক্টর মিছিল করার অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু মঙ্গলবার সেসব সরকারি নির্দেশনামাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই মিছিল শুরু করে দেন কৃষকরা। পুলিশের হাজারো নিষেধাজ্ঞা এবং অনুরোধকে কার্যত অমান্য করে আন্দোলনরত কৃষকরা তীব্র গতিতে এগিয়ে যেতে থাকেন দিল্লির দিকে।
এদিন সকাল থেকে পশ্চিম দিল্লি সীমান্তে, টিকরি সীমান্তের ছবিও একই রকম ছিল। সেখানে কৃষক নেতারা ঘোষণা করেন প্রতিবাদীরা যেন শান্তি বজায় রাখেন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে নিয়ম মেনে তাদের ট্র্যাক্টর মিছিল শুরু করার কথা ছিল। এদিন একাধিক সংবাদ সংস্থা খবর দিয়েছে, সকাল থেকেই হাজার হাজার কৃষক জড়ো হয়েছিলেন বিভিন্ন সীমান্তে। দিল্লি পুলিশ রাজপথে সরকারি প্যারেডের পর কৃষকদের মিছিল শুরু করার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত কৃষকরা সকাল থেকেই শুরু করে দিয়েছেন প্রতিবাদ। এখনো পর্যন্ত জানা যাচ্ছে অশান্তির বাতাবরণ বজায় আছে