সাবধান ! কমছে পারদ সাথে ইমিউনিটি, ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি
তাপমাত্রা আরো নিম্নগামী, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস

পল্লবী কুন্ডু : হটাৎ করেই মনে পড়ে গেলো কবি গুরু-র ‘শীতের হাওয়ায় লাগলো নাচন আমলকির ওই ডালে ডালে…’ গানটি। দুগ্গা মায়ের বিদায় বেলাতেই শীত নেমেছে রাতের শহরে। সকাল থেকে বেলা মালুম না হলেও দুপুর গড়িয়ে যেই বিকেল আর তারপরেই যখন সন্ধে নামছে তখনি জানান দিচ্ছে শীত(Winter)। নভেম্বর শুরুতেই যে তিনি হাজির হবে তা আর কে জানতো। গত বৃহস্পতি থেকেই রাতে ঘুমের ঘোরে চাদর চড়েছে শহরবাসীর গায়। আর সেই তাপমাত্রা(Temperature) আরো নিম্নগামী হতে চলেছে। সেই নিম্নতা আজ পৌঁছলো সর্বনিম্নে।আজ দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সপ্তাহ শেষে এক ধাক্কায় যে তাপমাত্রা অনেকটাই কমবে, তা আগেই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গতকাল সন্ধ্যায় কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্বাভাবিকের থেকে ১° কম। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ছিল ৯৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৬ শতাংশ। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের খবর, আজ সারাদিন পরিষ্কার থাকবে আকাশ। ফলত আকাশে মেঘ না থাকায় স্থলভাগ তাপ বিকিরণ করে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে।
পাশাপাশি হাওয়া অফিস সূত্রের খবর আগামী তিন থেকে চারদিন আরও কমবে তাপমাত্রা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তুরে হাওয়ার জেরে আপাতত শীতের আমেজ বজায় থাকবে। গতকালই পশ্চিম বর্ধমানের তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি। যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কম। রবিবার পানাগর সহ বেশ কিছু এলাকায় ১৪ ডিগ্রির নীচে নেমেছে তাপমাত্রা। আগামী তিন থেকে চারদিন আবহাওয়া থাকবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর।বুধবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। রাজ্যের বেশ কিছু অংশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। যার ফলে কিছুটা তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
তবে শীত যতই মনোরম হোক না কেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এরূপ খামখেয়ালীতে সাধারণের সঙ্গী হয়েছে সর্দি-কাশি যা এই করোনাকালে একেবারেই ঠিক নয়। জ্বর-সর্দি-কাশি হওয়াতে শরীরে কমছে ইমিউনিটি পাওয়ার ফলত বাড়ছে সংক্রমণের ভয়। তাই এই মুহূর্তে সাবধান থাকা অত্যন্ত জরুরি।