
তিয়াসা মিত্র : ২০২০ সালে অতিমারীর প্রথম ঢেউতে যেমন প্রাপ্তবয়স্করা বেশি সংক্রমিত হচ্ছিলো তেমনি এবার দেখা যাচ্ছে একদম বিপরীত চিত্র। যেখানে শিশুদের মধ্যে এই সংক্রম ছড়াচ্ছে বেশি, যারা ফলে হাসপাতালের বেড ভোরে উঠছে এবং চিকিৎসকেরা চিন্তিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যায় ইন্ধন জুগিয়েছে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া টিকা সংক্রান্ত নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য। যা টিকাকরণ নিয়ে অকারণ আতঙ্ক ছড়িয়েছে শিশুদের অভিভাবকদের মনে। তাঁদের মধ্যে টিকা নিয়ে অনীহার সরাসরি প্রভাব পড়ছে শিশুদের উপরে।
শিশু চিকিৎসক ওয়াসিম বালানের মন্তব্য, ‘‘অনেক অভিভাবকই মনে করেন যে টিকাগুলি অনেক দ্রুত বাজারে আনা হয়েছে। ফলে সেগুলি কতটা নিরাপদ তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তাঁরা। অনেকে মনে করছেন যে টিকা তাঁদের প্রজনন ক্ষমতার উপরে প্রভাব ফেলতে পারে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘মা-বাবাদের এটা বুঝতে হবে যে, টিকা সবচেয়ে বড় সুরক্ষা বলয়। বিশেষত ‘মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম’ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে টিকাকরণই একমাত্র ভরসা। ’’ এক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সিদের মধ্যে মাত্র ২৭ শতাংশের টিকাকরণ হয়েছে আমেরিকায়। এ দিকে এ মাসে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তির গড় এক লাফে প্রতিদিনে ৯১৪ জনে পৌঁছে গিয়েছে।
বেজিং অলিম্পিক্সের আর বাকি মাত্র দু’সপ্তাহ। তার আগে শহরের এক অঞ্চলের সংক্রমণ পরিস্থিতি চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। রবিবার আধিকারিকেরা জানান, ওই অঞ্চলের ২০ লক্ষ বাসিন্দার মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।