টুর্নামেন্ট আদৌ সম্ভব কিনা ? এই প্রশ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও, শেষটা হলো প্রত্যাশার চেয়েও বেশি
১৩ তম মরশুমে টুর্নামেন্ট থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা উপার্জন করেছে বোর্ড, যা সত্যিই চমকপ্রদ

পল্লবী কুন্ডু : করোনা আবহে যেখানে আইপিএল (IPL) সম্ভব কিনা তা নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগের দিন পর্যন্ত সংশয়ে ছিল বোর্ড, সেখানে এমন ফল সত্যিই আশাতীত। সত্যিই এবার সবুরে মেওয়া ফললো ! প্রত্যাশার চেয়েও বেশি আয় করল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (Board of Control for Cricket in India)।
জানা গিয়েছে, টুর্নামেন্ট থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা উপার্জন করেছে বোর্ড। একইসঙ্গে ভিউয়ারশিপেও তৈরি হয়েছে নয়া রেকর্ড। এই বিরাট সাফল্যের জন্য এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডকে (ECB) ধন্যবাদ জানিয়েছে বিসিসিআইয়ের কোষাধক্ষ অরুণ ধুমল। তিনি জানান, ‘গতবারের তুলনায় এবার ৩৫ শতাংশ খরচ কম হয়েছে। আর বোর্ড আয় করেছে ৪০০০ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, আমাদের টিভি ভিউয়ারশিপও ২৫ শতাংশ বেড়েছে। আইপিএলের ইতিহাসে এবারই উদ্বোধনী ম্যাচে সর্বোচ্চ ভিউয়ারশিপ হয়েছে। টুর্নামেন্ট না হলে ক্রিকেটারদের একটা বছর নষ্ট হত। তাই আইপিএল হয়ে সব দিক থেকেই ভাল হল।’
তিনি আরও বলেন যে, অনেকেই ভেবেছিলেন এই পরিস্থিতিতে এত বড় আয়োজন ঠিক কতটা সম্ভব বা আদৌ সম্ভব কিনা। কিন্তু বোর্ড সেটা করে দেখিয়েছে। ৩০ হাজারেরও বেশি করোনা টেস্ট হয়েছে। প্রায় ১৫০০ লোক দিনরাত পরিশ্রম করাতেই এই সাফল্য এসেছে। চলতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ১৩ তম আইপিএল। করোনার জেরে যা স্থগিত হয়ে ছিল বেশ কিছু দিন ধরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই চেষ্টার হাল ধরে ধরেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও কোং। কারণ আইপিএল বাতিল হয়ে গেলে বিরাট অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হত বোর্ডকে।
আর এই কারণেই টুর্নামেন্টের আয়োজনের সবরকম প্রয়াস চালায় বোর্ড। আর চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে যেতেই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে আরো সহজ হয় বোর্ডের ক্ষেত্রে। বায়ো-বাবলের মধ্যে সময় কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর ২২ গজকে চেনা ছন্দে ফিরে আসতে পেরেছিলেন সকল খেলোয়াড়েরাও। পাশাপাশি, ক্রিকেটপ্রেমীরাও তাদের জীবনে ফিরে পেয়েছিলো জীবনরস।