যেখানে লড়ার একমাত্র অস্ত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সেখানে এ কি অবস্থা হাসপাতালের ?
পল্লবী কুন্ডু : করোনা আবহেই এবার অভিযোগ উঠলো কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের শৌচাগার নিয়ে। একদিকে ঝাঁ-চকচকে ওয়ার্ড আর অন্যদিকে শৌচাগার দেখলে মাথা ঘোড়ার জোগাড়। বুধবার ওই হাসপাতালে চিকিত্সাধীনেরা জানান, ওয়ার্ডে এখন প্রায় ৩৫ জন রোগী রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের ব্যবহারের জন্য যে শৌচাগারগুলি রয়েছে, তার একটিও ব্যবহারযোগ্য নয়। রোগীদের অভিযোগ, অপরিচ্ছন্ন শৌচাগারের জন্য তাঁদের স্বাস্থ্য বিপন্ন। এই ভাইরাসের সাথে যেখানে একমাত্র লড়ার অস্ত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেখানে এ কি অবস্থা হাসপাতালের ?
শৌচাগারের যত্রতত্র নোংরা পড়ে রয়েছে। দূর্গন্ধময় পরিবেশে টাকা দায় হয়ে পড়ছে রোগীদের। এক আক্রান্ত বলেন, ”প্রবীণ, অশীতিপর রোগীরাও ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। খাবার, পানীয় জল একেবারে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে দেওয়া হচ্ছে। ওয়ার্ডের মেঝেও সব সময়ে পরিষ্কার রাখা হচ্ছে। কিন্তু শৌচাগার একেবারে যাওয়ার মতো নয়।” অপরিচ্ছন্নতার জন্য মঙ্গলবার শৌচাগারে যাননি বলে জানিয়েছেন তিনি। এ দিন বাধ্য হয়ে কোনও রকমে শৌচকর্ম সেরেছেন। এক আক্রান্ত জানান, ওয়ার্ডের কর্তব্যরত সুপারভাইজ়ারদের শৌচাগার পরিষ্কারের অনুরোধ জানালে আশ্বাস ছাড়া আরকিছুই মেলেনি।
একটি মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী রঞ্জিত শূর বলেন, ”সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকের শৌচাগারের এই অবস্থা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কী হাল। পরিচ্ছন্ন শৌচাগার এক জন রোগীর ন্যূনতম অধিকার। শৌচাগার পরিষ্কার করলেই হবে না, তা যাতে সব সময়ে পরিষ্কার থাকে, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে।” সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ”শৌচাগারগুলি দ্রুত পরিষ্কারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
তাহলে কি এটাই ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, এই বিপুল পরিমান সংক্রমণের নয়া পথ এই অপরিষ্কার শৌচালয়। যেখানে প্রতিমুহূর্তে প্রতিটা সময় প্রয়োজন সুরক্ষার খাতিরে রোগী সহ আশ-পাশের সমস্ত কিছু শুধু পরিষ্কারই নয় উপরন্তু জীবাণুমুক্ত করা। সেখানে কলকাতা মেডিকেল হাসপাতালের মতো একটি হাসপাতালে এরূপ অবহেলা কিসের জন্য ? রোগীদের নতুন করে সংক্রমণ ঘটলে তার দায় ক নেবে ? হাসপাতাল কতৃপক্ষ নেবে তো ? উঠছে প্রশ্ন।