বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য নিয়ে বিতর্ক : বিশ্ববিদ্যালয় তুমি কার ?

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মূলত টানা পোড়েনের মধ্যে সিদ্ধান্ত : আর নয় এবার মুখ্যমন্ত্রীই হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য্য

নিউজ ডেস্ক : রাজ্যপাল নন, মুখ্যমন্ত্রীই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, মন্ত্রিসভা শিলমোহর দিল প্রস্তাবে। চলছিল একটা চর্চা শেষের বছর দেড়েক ধরে। তাই এই চর্চার অবসান ঘটিয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত। রাজ্য়ের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গের যত বিশ্ববিদ্যালয় আছে তার আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল আনবে সরকার।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজ্যপাল টুইটার, ফেসবুক নিয়েই মেতে আছেন। এরকম একজন আচার্য থাকলে সে রাজ্যের শিক্ষার অবস্থা ভয়াবহ হওয়ারই কথা। আমাদের ভাগ্য ভালো তা সত্ত্বেও শিক্ষার কাজ আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। রাজ্যপাল শিক্ষাদপ্তরের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করেন না। সারাক্ষণ বেআইনি কাজ করেন। শিক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ফাইল দিনের পর দিন আটকে রাখার অভিযোগও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

এই প্রসঙ্গে কেরলের রাজ্যপালের পদক্ষেপের কথা তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। সম্প্রতি রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে গ্রহণ করতে অনুরোধ করেছেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনও করতে বলেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত প্রসঙ্গে আরিফ মহম্মদ খান এই প্রস্তাব দেন। তিনি বলেছিলেন, আমি চাই না আমার নিজের সরকারের সঙ্গে এই বিরোধ চলতে থাকুক। তৃণমূল সরকার কেরলের রাজ্যপালের সেই প্রস্তাবকেই হাতিয়ার করতে চাইছে। এটা কি আইনত করা সম্ভব? সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্নে ব্রাত্যবাবু বলেন, আমরা রাজ্যপালের কথারই প্রতিধ্বনি।

Exit mobile version