
তিয়াসা মিত্র : ভারত বর্তমান সরকার, সরকারি সংস্থাগুলো বিক্রি করা তথা বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের কথা কোনো ভাবে মাথাতেই আসেনি সরকারের অর্থাৎ কোনো রকম আপত্তি বা বক্তব্য শুনতেই রাজি নন ওনারা। খুব শিগগিরই দুই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-এর রিয়েল এস্টেট বিক্রি করতে চলেছে কেন্দ্র। এর জন্য এর মধ্যেই দরপত্র চাওয়া হয়ে গেছে সরকারের এবং ক্রেতার সংস্থার। তবে এই নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছে দুই কোম্পানির কর্মীরা।
ভারতের হায়দ্রাবাদ ,কলকাতা,চন্ডিগড় এবং ভাবনপুরে রয়েছে এই দুই টেলিকম সংস্থার ছটি রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি। এই সব কোটি বেচে দিতেই দরপত্র চাওয়া হয়েছে। সূত্রে জানা যাচ্ছে দুটি সম্পত্তি মিলিয়ে পর্যায়ে ৯৭০ কোটি টাকার ওপর বিক্রি করতে চলছে “সরকার” এর মধ্যে ৬৬০ কোটি টাকা বিএসএনএল-এর সম্পত্তির এবং বাকি ৩১০ কোটি টাকা এমটিএনএল-এর। রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি বলতে এই চার শহরে রয়েছে দুই সংস্থার অফিস এবং ফ্ল্যাট। তা দেড় বছরের মধ্যে বিক্রি করে কোষাগার ভরার পথে কেন্দ্র।
বিএসএনএল-এর কর্মীরা আন্দোলনের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে খবর। তাঁরা বলছেন, বেসরকারি সংস্থাগুলো যেখানে ক্রমেই উন্নতি করে চলেছে, সেখানে কেন্দ্র রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাদের সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়ে আরও কোমর ভেঙে দিচ্ছে। তবে এই প্রতিবাদ কতটা ফলপ্রসূ হবে তাতে সন্দেহ। চলতি অর্থবর্ষের বাজেটেই বেসরকারিকরণ এবং কোষাগার ভরার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।