অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরার চোখ এখন আগামীর ভোরের আলোয়
গতকাল সম্পন্ন হবে ত্রিপুরা পৌরসভা ভোট এবং ফলাফল ২৮ শে নভেম্বর

তিয়াসা মিত্র : বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই ত্রিপুরার দাবানলের আঁচ পড়েছে পশ্চিমবাংলার মানুষের মধ্যে। ২০২৪ এর মহা যুদ্ধের আগে এই যুদ্ধ তৃণমূল-এর কাছে আর একটি বোরো লড়াই এবং তার থেকেও বেশি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জীর কাছে ,কারণ তিনি ত্রিপুরার তৃণমূল দলের প্রধান মুখ। তিনি নিজের মতন করে সেই ক্ষেত্র স্থানে সাজিয়েছে দল। এবার অন্য দিকে দেখলে চোখে পর্বে বিজেপি শাসিত রাজ্য হলেও তত্রিপুরাতে বহু বিজেপি কর্মী গিয়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। যার জন্য বহু রাজনৈতিকবিদ বলছেন সেই রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী বিপ্লব দেব অসফল হচ্ছেন নিজের দলকে এবং রাজ্যকে বাঁচাতে যেখানে অন্য দল গিয়ে নিজেদের উপস্থিতি আরো জোরালো করছেন।
সায়ণি ঘোষের গ্রেফতারের কান্ড থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতা বাবুল সুপ্রিয়কে ঘেরাও, তৃণমূলের প্রচারে বিজেপি দলের বিরোধিতা। আবার অন্য দিকে তৃণমূল কর্মীদের সাথে হাতাহাতি সবই ঘটেছে এবং ঘটছে এই রাজ্যে। একটি সমীক্ষাতে দেখাযাচ্ছে এই বছরের ভোটার স্টাটিস্টিক , প্রায় ৬ লক্ষ্ ভোটার আছেন এই ভোট পুজোতে। যার ভেতর মুখ ভূমিকা পালনে আছে বিজেপি থেকে ত্রিপুরার মুখমন্ত্রী বিপ্লব দেব এবং অন্যদিকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী।
মোট পোলিং বুথ তৈরী করা হয়েছে ৬৪৪ টি যার ভেতর খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো ৩৭০ টি এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান ২৭৪ টি। সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ পোলিং এরিয়াতে রক্ষা বাহিনী রাখা হচ্ছে ৪ জন ত্রিপুরা স্টেট রাইফেল জওয়ান এবং তার পর ২৭৪ টি পোলিং এরিয়াতে মোতায়েন করা হবে ত্রিপুরার ৪ জন সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী।এছাড়া আগরতলার মিউনিসিপাল অফিস গুলোতে রাখা হবে ৫ জন করে স্টেট রাইফেল জওয়ান।
সমস্ত ব্যাবস্থা গ্রহণের পর এখন দেখার বিষয়ে একটি কাল ভোট দানের আসল চিত্র কি দাড়ায়ে এবং কতটা সুস্থ ভাবে স্বপন্ন হয়ে ভোট পর্ব এর সাথে ২৮ শে নভেম্বরের ভোট ফলাফল কার পক্ষে কথা বলে।
চিত্র সৌজন্যে : bangla Ajtak