মাঘী পূর্ণিমার পূণ্য স্নানে গঙ্গাসাগরের লক্ষ্য লক্ষ্য পুণ্যার্থীদের ভিড়

নজর থাকলেও যানবাহনের সমস্যা রয়েছে , পূর্ণাথীরা ফিরতে নাকাল

নিজস্ব সংবাদদাতা : “কথায় রয়েছে সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার”। মকর সংক্রান্তিতে পূর্ণ লাভের আশায় গঙ্গাসাগরে পুণ্যের ডুব দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ পূর্ণার্থীরা ছুটে আসে। গঙ্গাসাগর মেলার সময় কয়েক দিনের জন্যই গঙ্গাসাগর সমুদ্র সৈকত হয়ে ওঠে যেন মিনি ভারতবর্ষ। নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান বিবিদের মাঝে যেন ভারত মহান এমনই দৃশ্য দেখা যায় গঙ্গাসাগরে। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলা শেষের পর মাঘ মাসের শেষ পূর্ণিমার পূণ্য তিথিতে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকত ও কপিলমুনি আশ্রম চত্বরেও তিল ধারনের জায়গা থাকে না।

🛑AI News/ 🛑 Spacial Report 

মাঘী পূর্ণিমার পূর্ণ তিথিতে মক্ষ লাভের আশায় রাজ্যের তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা ছুটে আসে গঙ্গাসাগরে। শনিবার ভোর রাত থেকেই গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে পূর্ণার্থীদের উপছে পড়েছে ভিড়। হিন্দু পঞ্জিকা মতে ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোর ৩. ৩৬ মিনিট থেকে পূর্ণিমার তিথি লেগেছে এবং এই তিথি থাকবে ৬.৩৪ মিনিট পর্যন্ত। মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে ভোর রাত থেকেই গঙ্গাসাগরের চলছে পুণ্যের ডুব। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে ৪৪ জন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদের।

এছাড়াও জলপথে নজরদারি চালানোর জন্য তিনটি স্পিডবোট কচুবেড়িয়া থেকে সাগর বেলাভূমি পর্যন্ত টহল দিয়ে যাচ্ছে। পুণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। একাধিক পুলিশ কর্মী মোতায়ন করা হয়েছে সমুদ্র সৈকতে। উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুর থেকে আসা এক পুণ্যার্থী আলপনা বর্মন তিনি বলেন, গঙ্গাসাগর মেলার সময় গঙ্গাসাগরে প্রচন্ড ভিড় থাকে সেই সময় রাজ্যের মানুষের সুযোগ হয়ে ওঠে না আসার জন্য। কিন্তু মাঘী পূর্ণিমাতেও পূর্ণ স্নান করার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে।

গঙ্গাসাগর মেলার সময় পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা দিতে যেমন আটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখে পুলিশ প্রশাসন সে তেমনি মাঘী পূর্ণিমার ক্ষেত্রেও পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখে পুলিশ প্রশাসন। পুণ্যার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পূর্ণ স্নান করে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সেদিকেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

Exit mobile version