প্রয়াত ভারতের ‘মশলা কিং’ মহাশয় ধর্মপাল গুলাটি ,শোকের ছায়া নেটদুনিয়ায়
না ফেরার পথে পাড়ি দেশের মশলা সম্রাটের

চৈতালি বর্মন : দেশভাগের পর ভারতে আসেন গুলাটি(Mahashay Dharampal Gulati)। ১৯৪৭ সালে ১৫০০ টাকা নিয়ে দিল্লিতে পা রাখেন তিনি। মশলার ব্য়বসা ছাড়াও নয়া দিল্লির (Delhi) জনকপুরিতে একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও তৈরি করেছেন।রমপাল গুলাটি ১৯২৩ সালে পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ক্লাস ফাইভে ড্রপআউটের পর তিনি তাঁর বাবা মহাশয় চুন্নি লাল গুলাটির মশলার ব্যবসায় যোগ দেন। এমডিএইচ-এর সাইটে তাঁর আত্মজীবনী অনুসারে, তিনি তাঁর বাবার হাত ধরে ১৯৩৭ সালে নিজের ব্যবসা শুরু করেন, যেখানে তিনি আয়না, সাবান, হার্ডওয়্যার এবং চাল বিক্রি করা শুরু করেন।
এরপর সেই ব্যবসায় ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি ফের ফিরে আসেন তাঁর বাবার ব্যবসা ‘মহশিয়ান দি হাট্টি’ কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হতে। সেই সময় তারা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল ‘দেগি মির্চ মশলা’ নামে। এরপর ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তিনি ভারতের দিল্লিতে চলে আসেন, সেইসময় তাঁ কাছে ছিল ১৫০০ টাকা।এরপর তিনি দিল্লির করোল বাগে প্রথম দোকানটি খোলেন এবং সেখান থেকে তাঁর ব্যবসা প্রসার লাভ করে। এরপর ১৯৫৯ সালে তিনি তাঁর কোম্পানি এমডিএইচ-কে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেন। আজ তাঁর কোম্পানী ৬২ রকমের প্রোডাক্ট বিক্রি করেন ১৫০টি আলাদা আলাদা প্যাকেজিং-এ।
ধরমপাল গুলাটি ২০১৭ সালে ৯৪ বছর বয়সে ভারতবর্ষের হাইয়েস্ট পেইড সিইওর স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি ছিলেন অত্যন্ত পরোউপকারী। জীবদ্দশায় তিনি একাধিক স্কুল এবং হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।এমডিএইচ মালিক মহাশয় ধর্মপাল গুলাটির জীবনাবসান। মৃত্য়ুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭। টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে এমডিএইচ মশলার বিজ্ঞাপনে পরিচিত ছিল তাঁর মুখ।গুলাটির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপমুখ্য়মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।