পুড়ে ছাই ইউক্রেনের গর্ব, যুদ্ধ আবহে ধ্বংস বিশ্বের বৃহৎ বিমান এএন-২২৫
১৯৮৮ সালের ২১ ডিসেম্বর এই বিমান প্রথম আকাশপথে ওড়ে

তিয়াসা মিত্র : ইউক্রেনিয়া ভাষাতে স্বপ্নকে বলা হয় ‘মৃয়া’. ইউক্রেন অ্যারোনটিক্স সংস্থা অ্যান্টোনভ এই বিমানটির প্রস্তুতকারক। তবে এই বিমানটি যাত্রী পরিবহণের জন্য বানানো হয়নি। কার্গো অর্থাৎ বিভিন্ন পণ্য পরিবহণের জন্যই বিমানটি তৈরি করা হয়েছিল। টানা চার দিনের মস্কো আগ্রাসনের মুখে পড়ে বিপর্যস্ত কিভ। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই সঙ্ঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দু’পক্ষই। কিন্তু রাশিয়ার থেকে ইউক্রেনের ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। মানুষ তো বটেই, রাশিয়ার মুহুর্মুহু আঘাতে বলি ইউক্রেনের অনেক স্থাপত্য-সম্পত্তিও। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইউক্রেনের কাছে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান।
কিভের কাছে হস্টোমেল বিমান বন্দরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নষ্ট হয় বিমানটি। অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়কালে ১৯৮০ সালে ইউক্রেনের অ্যান্টোনভ সংস্থা এই বিমানটির নকশা প্রস্তুত করে। এই বিমানের নকশা তৈরির মাথা ছিলেন ভিক্টর তোলমাচেভ। ১৯৮৫ সালে বিমানটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি করা হলেও ১৯৮৮ সালের ২১ ডিসেম্বর এই বিমান প্রথম আকাশপথে ওড়ে।
৩ বছরের কিছু বেশি সময় ধরে সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনীর কাজে লাগার পর প্রায় ৮ বছর ধরে বিমানটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। পরে অবশ্য বিমানটি বাণিজ্যিক কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয় ইউক্রেন এবং আজ এই বিধ্বংসী যুদ্ধে সেই ঐতিহাসিক বিমান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। যা ইউক্রেন-এর কাছে এক দুঃস্বপ্নের মতন।