বাড়লো তেলের দাম, কপালে ভাঁজ সাধারণের
আশঙ্কায়ে ব্যবসায়ীরা, সাথে চিন্তা বাড়লো দেশবাসীরও

পৃথা কাঞ্জিলাল : কোভিড পরিস্থিতিতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামের বৃদ্ধি হয়েছে অনেকটাই। তবে এইবার দীর্ঘ দিন একটানা পড়ার পরে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম। রবিবার প্রধানত এই যুক্তি দেখিয়েই দেশে পেট্রোল-ডিজেলের(Petrol-Diesel) দাম বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। ফলে এ দিন মাঝরাত থেকে কলকাতায় পেট্রোলের দাম সমস্ত কর যোগকরে লিটার পিছু ৬৮ পয়সাবেড়ে দাঁড়াল ৬৫.২৮ টাকায়।৫৫ পয়সা বেড়ে ডিজেল হয়েছে ৫১.৫৪ টাকা।
এর আগে গত অগস্ট থেকে দেশ জুড়ে টানা ১০ বার লিটারে মোট ১৭.১১ টাকা কমানো হয়েছে পেট্রোল। আর অক্টোবরে ডিজেল পুরোপুরি সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়ার পরে তার দাম ছ’বারে কমেছে সাকুল্যে ১২.৯৬ টাকা। যদিও তেলের দাম কমানো নিয়ে সে সময়ে হয়েছিল বিতর্ক। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম যতটা হুড়মুড়িয়ে কমেছে, সেই অনুপাতে কমেনি দেশের বাজারে পেট্রোল ও ডিজেলের দর। কারণ, নভেম্বর মাস থেকে চার দফায় জ্বালানি দু’টির উপর উৎপাদন শুল্ক (পেট্রোলে লিটার পিছু মোট ৭.৭৫ টাকা, ডিজেলে ৭.৫০ টাকা) চাপিয়েছে সরকার।
সরকারের লক্ষ্য ছিল, তেলের দাম কম থাকতে থাকতে যতটা সম্ভব নিজেদের ঘর ভরানো। উদ্দেশ্য সফলও হয়েছে মোদী সরকারের। কিন্তু এতে তেলের দাম কমার সুবিধা তেমন ভাবে পৌঁছয়নি সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। যাকে রাজনৈতিকঅস্ত্র হিসেবে ব্যবহারও করেছে বিরোধী দলগুলি। ইন্ডিয়ান অয়েলের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম ফের বাড়তে শুরু করেছে। পাশাপাশি, গত ৪ ফেব্রুয়ারি শেষ বার পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর পর থেকে ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামকেও কিছুটা পড়তে দেখা গিয়েছে। আর এই দুই চাপের্ বিরুধ্যে লড়তে এ বার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।