তাদের জন্য কবে সুরাহা হবে ? যারা ছিনিয়ে না খেলে খাবার জোটেনা কপালে !
একটি ভিডিও ফুটেজ আবারো বলে দিলো কতটা অসহায় মানুষগুলি
পল্লবী : আবারো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো দিল্লিতে। একটি ভিডিও এবং তাতে দেখা যাচ্ছে খাবার বোঝাই একটি ঠেলাগাড়ি রেলের প্ল্যাটফর্মে আসতেই কীভাবে মানুষ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। দ্রুত সেগুলি তুলে নিয়ে শ্রমিকদের সেখান থেকে সরে যেতে দেখা যায়। পেট ভর্তি খিদে কি করবে আর ? ছিনিয়ে নিতে না পারলে যে সেটুকুও জুটবে না !
সকলের সামনে উঠে আসলো ক্ষুদার্থ কিছু শ্রমিকদের চিত্র যারা সামান্য একটু খাবারের জন্য এমন করছেন। তাহলে প্রশাসন কি করছে ? তাদের এই মুহূর্তে ফিরিয়ে না আনতে পারলেও অন্তত খাবার টুকু জুগিয়ে তো দিতেই পারে এই সাধারণ অসহায় আশ্রয়হীন মানুষ গুলোর মুখে। আর কতদিন ছবিতে, ভিডিওতে ধরা পর্বে এমন চিত্র? ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কীভাবে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেলাগাড়ির উপর থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন খাবার ও জলের প্যাকেট।
সেই গাড়িতে চার কার্টন স্ন্যাকস ছিল, সম্ভবত চিপস, বিস্কুট ও অন্যান্য প্যাকেটজাত খাদ্যসামগ্রী। আর ছিল জল। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ওই ঠেলাগাড়ি প্ল্যাটফর্মে আসতেই পরিযায়ী শ্রমিকরা তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। মিনিট দুয়েকের মধ্যে সেগুলি তুলে নিয়ে শ্রমিকদের সেখান থেকে সরে যেতে দেখা যায়। যে যতটা পেরেছেন, তুলে নিয়ে নিয়ে দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যান। এমনকী, একে অন্যের থেকে প্যাকেট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। প্রসঙ্গত, রেল পুলিশের কোনও আধিকারিককেই তখন ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
কেন এই চিত্র ? এই মানুষ গুলিকে আর কতদিন এইভাবে কেড়ে, ছিনিয়ে তাদের জীবন চালাতে হবে ? একেই প্রতিদিন ভোরে করোনা মৃত্যুর পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদেরও মৃত্যুর খবর আসছে নিয়মিত। এনারাই যে দেশের অর্থনীতির মূল কান্ডারি তা হয়তো ভুলে গিয়েছেন সকলে।