
বনিতা রায় : করোনা পরিস্তিতিতে প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর লোকাল ট্রেন ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালু হয়েছিল। আর পাশাপাশি চলাচল করছিল করোনার সময় চালু হওয়া সমস্ত স্পেশ্যাল ট্রেন। এই স্পেশ্যাল ট্রেন গুলির জন্য যাত্রীদের ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছিল। রেল দপ্তরের একটি নির্দেশিকায় জারি হয়েছে, সমস্ত স্পেশ্যাল ট্রেন আর চালানো হবে না এর পাশাপাশি যাত্রীদের ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছিল তাও বন্ধ করা হবে। স্বাভাবিক নিয়মে এখন থেকে মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকায় ঘুরবে।
রেলমন্ত্রী অশ্বীন বৈষ্ণো জানিয়েছেন, ‘প্রায় ৯৫ শতাংশ এক্সপ্রেস ট্রেন ইতিমধ্যেই লাইনে নেমে পড়েছে। এই ট্রেনগুলির ২৫ শতাংশকে এতদিন স্পেশ্যাল হিসেবে চালানো হচ্ছিল। যাত্রীদের ৩০ শতাংশ বেশি ভাড়া দিয়েও হচ্ছিল। তবে শীঘ্রই এই স্পেশ্যাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হবে। আবার পুরনো ভাড়ায় ফিরছে ট্রেন।’ করোনা পরিস্তিতি হওয়ার আগে প্রায় ১৭০০ মেল এক্সপ্রেস ট্রেন চালু ছিল কিন্তু মহামারীর পর তা একেবারে থমকে যায় যদিও পরে কয়েকদিন ট্রেন চলাচল করেছিল। তবে যাত্রীরা নিশ্চিন্ত হলেও মনে করা হচ্ছে পুরনো ভাড়ায় ট্রেন ফিরলে আবারও মানুষের যাতায়াতের সংখ্যা বাড়বে।