নেই ভালোবাসা নেই কোনো আবেগ , শুধু টান স্ত্রী-এর আয়েই
এই বিষয়ে ডিভোর্স মঞ্জুর করলো হাই কোর্ট

তিয়াসা মিত্র : স্ত্রীর প্রতি স্বামীর বা স্বামীর প্রতি স্ত্রী এর নিষ্ঠুর আচরণে ডিভোর্স হয়েছে বহু ক্ষেত্রে , তবে এই রকম কারণকেও মান্যতা দিলো দিল্লি হাই কোর্ট। বিচারপতি বিপিন সঙ্ঘীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ স্বামীর আবেগহীন মানসিকতা, কেবলমাত্র স্ত্রীর অর্জিত আয়ের ব্যাপারেই আগ্রহকে তিরস্কার করেছে। তিনি বলেছেন , স্ত্রী দিল্লি পুলিশের চাকরি পাওয়ার পর থেকে তাঁকে শুধু টাকা রোজগারের গাড়ি হিসাবেই দেখতেন স্বামী। স্বামীর এমনমানসিকতা স্ত্রীর মানসিক যন্ত্রণা, কষ্টের কারণ হয়ে ওঠে, যা নির্যাতনের সমান।
ওই বেঞ্চ এর অভিমত প্রতিটি বিবাহিত মহিলার সংসার করার বাসনা থাকে। কিন্তু বর্তমান ক্ষেত্রে স্বামী ভদ্রলোকের দাম্পত্যকে সমৃদ্ধ করার ইচ্ছা নেই, শুধুমাত্র স্ত্রীর রোজগারেই তাঁর নজর। স্বামী বেকার, মাতাল, শারীরিক নির্যাতন করেন, টাকা আনতে বলেন বলে অভিযোগ করে স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিবার আদালত তাঁর আবেদন নাকচ করে। হাইকোর্ট পরিবার আদালতের রায় খারিজ করে হিন্দু বিবাহ আইনে দুপক্ষের বিয়ে ভেঙে দেয়।
তবে এই ক্ষেত্রে দুই পক্ষই গরিব পরিবার থেকে উঠে এসেছে। জানা যায় তাদের বিবাহ হয়ে ২০০৫ সালে যখন মেয়েটি মাত্র ১৩ বছরের এবং ছেলেটি ১৯ বছরের।
এরপর মেয়েটি নিজের বাপের বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করে মেয়েটি । তবে , স্বামী বিয়ে ভেঙে দেওয়ার আবেদনের বিরোধিতা করেন এই যুক্তি দেখিয়ে যে তিনি স্ত্রীর পড়াশোনার খরচ বহন করেছেন, যার জন্য সে চাকরি পেয়েছে। যদিও স্ত্রী এই দাবি নাকচ করেন।