
মধুরিমা সেনগুপ্ত: কেন্দ্রীয় বাজেটের দিন গোনা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এইরকম করোনা পরিস্থিতিতে বাজেট তৈরী করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। তবে এই পরিস্থিতিতেও শেষ মুহূর্তের কলম চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকএর কর্মীরা। এবছর বোঝাই যাচ্ছে বাজেট হবে বেশ ব্যতিক্রমী অর্থাৎ এতদিনের অনেক ঐতিহ্য, রীতিনীতি পাল্টে দেওয়া হবে এবারের বাজেটে (Budget)।
অর্থমন্ত্রী আর কে সম্মুগম সেদিনই প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেট প্রকাশ করেছিলেন। শুধুমাত্র বাজেটের পেপার ছাপার জন্যই নর্থ ব্লকে রয়েছে একটি আলাদা ছাপাখানা।সেই স্থানে বাজেটের সঙ্গে যুক্ত ১০০ জন অফিসার ও কর্মীর থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে । বাজেট চেপে শিলবন্দী হওয়া থেকে শুরু করে তা বিতরণ হওয়া অবধি তারা সেখানেই থাকেন। কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতিতে আরোপিত বিভিন্ন বিধিনিষেধের জন্য সেই প্রথা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এছাড়াও প্রতি বছরের প্রথা বাজেটের কাগজপত্র ছাপার কাজ শুরুর আগে প্রথা হালুয়া তৈরি করে খাওয়া। কিন্তু এইবছর হয়নি সে প্রথাও। ঠিক করা হয়েছে যে সংসদের ৭৫০ জন সদস্য বাজেট পাবেন ডিজিটাল মাধ্যমে, যদিও পরে তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে সফট কপি। এবং একইভাবে তারা অর্থনৈতিক সমীক্ষাও পাবেন বলে জানা যাচ্ছে। কাজেই বোঝা যাচ্ছে বাজেটের দিন সেই চেনা পরিচিত লরিতে বোঝাই হয়ে বইপত্র নিয়ে আসার দৃশ্য এবার থাকছে না।