অপরাধীদের শাস্তি চায় বাল্মীকির পরিবার, এসআইটির পরীক্ষাতে রাজি নয় তারা
প্রশাসক আধিকারিকদের উপর উঠে এসেছে একাধিক অভিযোগ, নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে কাতর আবেদন

দেবশ্রী কয়াল : উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনায় উত্তাল এখন গোটা দেশ। দাবি এখন একটাই, অপরাধীদের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দিতে হবে। ইতিমধ্যেই চলছে তদন্ত। আজ রবিবার সকালেই হাথরসে মৃতার বাড়িতে যান সিটের সদস্যরা। কথা বলেন তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে। তাঁদের বয়ান ও এদিন রেকর্ড করা হয়। গত ২রা অক্টোবর শুক্রবার সিট এর তরফে পলিগ্রাফ এবং নার্কোঅ্যানালিসিস পরীক্ষার জন্যে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্যাতিতার মা সাফ তাঁদের কে জানিয়ে দিয়েছেন এমন কোনো পরীক্ষা তিনি বা তাঁর পরিবার করবেন না। তাঁর মেয়ের উপর যাঁরা অত্যাচার চালিয়েছে নৃশংস ভাবে তাঁদের উপরেই এই পরীক্ষা করানো হোক বলে দাবি করেছেন তিনি।
এছাড়া গতকাল নির্যাতিতার মা, জেলাশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেছেন, তাঁদের বয়ান বদলের জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছেন জেলাশাসক। রীতিমত ধমক দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। অপরদিকে গত শুক্রবার রাতেই সিটের প্রথম তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতেই হাথরসের এসপি, ডিএসপি সহ মোট পাঁচ জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
নির্যাতিতার পরিবার বারবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে গতকাল বলেছেন, তাঁরা কোনো ক্ষতিপূরণ চায় না, কোনো টাকা বা চাকরি চায় না। তাঁরা শুধু নিজেদের মেয়েকে ফিরে পেতে চায়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ হেনেছে মৃতার পরিবার। জানা গেছে গত ২ দিন ধরে তাঁদেরকে পুলিশরা রীতিমত নজরবন্দি করে রেখেছিল। পারলে বাথরুম এও সাথে যায়। বাড়িতে কোনো খাবার ছিল না। না খেয়েই তাঁরা কাটিয়েছে। এছাড়াও বলতে ডিজিকে বলতে শোনা গেছে, মেয়ের যদি করোনা হয়ে মারা যেত তাহলে কী করতেন। তাই চুপচাপ যেন এই সব মেনে নেয় ! কিন্তু পরিবারের সদস্যেরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অটুট তারা অপরাধীদের শাস্তি চায়। আর কোনো রকম পরীক্ষা দিতেও তাঁরা চান না।