আম্ফানের ব্যাপক বিপর্যয়ে শোকাহত কোহলি !
অত্যন্ত খারাপ অবস্থা বাংলা ও ওড়িশার, তাতেই শোক প্রকাশ করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড়রা
@ দেবশ্রী : গোদের উপর বিষফোঁড়া। একদিকে সকলে যখন করোনায় বিপর্যস্ত, তখন বাংলার উপর ধেয়ে আসে এক বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যা শতাব্দীর সবথেকে বড় ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে বাংলা। ঘর হারিয়েছে লক্ষের অধিক মানুষ। জুটছে না সামান্য খবর টুকু। প্রাণ হারিয়েছেন ৭২ জন মানুষ। কারও বিদ্যুত্স্পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তো কারও প্রাণ গিয়েছে মাথায় গাছ ভেঙে পড়ে। ঘূর্ণিঝড় আমফানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ওড়িশারও। দুই ২৪ পরগণা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুরকে তছনছ করে বাংলা ছেড়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এই সুপার সাইক্লোন। রাতারাতি বদলে গিয়েছে এই দুই রাজ্যে চেহারা। যা দেখে মর্মাহত বিরাট কোহলি, কুলদীপ সিংরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেন ভারতীয় অধিনায়ক।
গতকাল থেকে দিনভর সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ছবি ও ভিডিও ফুটে উঠেছে। কোথাও জলের নিচে চলে গিয়েছে বিমানবন্দর। তো কোথাও রাস্তার উপর গাছ ভেঙে পড়ায় ব্যাহত চলাচল। বহু মানুষের ঘর-বাড়িও ভেঙে গিয়েছে। বাংলাতেই পাঁচ লক্ষ মানুষকে আগে থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপরও অনেকে ঘরছাড়া হয়েছেন এই তাণ্ডবের কারণে। আর সেই সব মানুষগুলির জন্যই দুঃখপ্রকাশ করেছেন টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক কোহলি টুইট করেছেন, ‘ওড়িশা আর পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা এই সাইক্লোনে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সহানুভূতি রইল। ঈশ্বর প্রত্যেককে সুরক্ষিত রাখুন। আশা করি তাড়াতাড়ি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
ইতিমধ্যেই ইউনিসেফের (UNICEF) তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারনে ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় ১৯ মিলিয়ন শিশুর জীবনে ঝুঁকি নেমে এল। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের প্রচুর ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, আম্ফানের জেরে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অন্তত ১০-১২ দিন সময় লাগবে। গোটা পরিস্থিতি দেখে ভাষা হারিয়েছেন আরেক ভারতীয় তারকা কে এল রাহুল। তিনিও মৃত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। টুইটারে এই বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন কুলদীপ যাদবও।