পরিবারের মুখে তুলতে পারছিল না অন্ন ! হতাশ, নিরুপায় হয়েই আত্মঘাতী বাস চালক
বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তায় আজ ১৫ টি রুটের বাস চালক এবং কন্ডাক্টর, হাতে থালা, বাটি আর প্ল্যাকার্ড
দেবশ্রী কয়াল : লকডাউনে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ ছিল বাস। তবে আনলক পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর থেকেই, রাস্তায় নেমেছে বাস। তবে সব না। প্রথম থেকেই বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল বাসমালিক সংগঠনের কর্তারা। কিন্তুহয়নি। আর তার জেরে অনেক বাস কর্মচারীরাই পায়নি বকেয়া মাইনে। আর তার জেরেই এবার আত্মঘাতী হলেন ২২১ বাস রুটের এক চালক। আর তাতেই বুধবার নাগেরবাজার সহ একাধিক জায়গায় প্রায় ১৫ টি রুটের বাস চালক এবং কন্ডাক্টররা রাস্তায় বসে থালা বাটি ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। কারন এমন অবস্থার পথে বহু মানুষ।
এদিন বুধবার, ভোররাতে দমদম পার্কের বাসিন্দা বিশ্বজিত্ বড়াল আত্মঘাতি হন। তাঁর মৃত্যুর কারন হিসাবে জানা যাচ্ছে, সে দুবেলা ঠিক করে পরিবারের মুখে তুলে দিতে পারছিল না অন্ন, আর তাই একঠিন পথ বেছে নিতে একপ্রকার বাধ্য হয়। এর কারণেই বুধবার , নাগেরবাজার ক্লাইভ হাউসের সামনে এবং দমদম শ্যামনগরে প্রায় ১৫ টি রুটের বাস চালক এবং কন্টাক্টররা রাস্তায় বসে থালা বাটি ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে দেখায় বিক্ষোভ।
তাঁদের দাবি, তাঁরা সংসার চালাতে পারছে না, ছেলে মেয়েদের বই কিনতে পারছে না। সেই কারণেই তারা বুধবার রাস্তায় নেমেছে। লকডাউনের ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি বাস মালিক সহ পরিবহন কর্মীরা। কদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ বাবদ একটা টাকা ধার্য করেছিল কিন্তু বাস মালিকরা মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে এবার অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন। এদিন বিক্ষোভে, বিক্ষোভকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান, রাস্তায় বসা ছাড়া তাদের কাছে আর কোনও উপায় নেই। ছেলেমেয়ের মুখে অন্ন তুলে দিতে পারছেন না। আর তাই বিক্ষোভ ছাড়া উপায় ছিল না তাদের কাছে।