সাধারণের ভোগান্তি কমাতে এবং দূষণ রুখতে রাজ্যে বাড়ছে ই-বাসের সংস্থা
রাজ্য পরিবহণ নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই নতুন ৫০টি ই-বাস পথে নামানো হবে।
পল্লবী কুন্ডু : লকডাউনের পর আনলক পর্যায় শুরু হতেই খামতি দেখা দিয়েছে গণ পরিবহনে। কাজেই পথচলতি মানুষের রোজের ভোগান্তি লেগেই রয়েছে। এমন সময়ে রাজ্যে ই-বাস বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য। এরফলে একদিকে যেমন সাধারণের ভোগান্তি কমবে অন্যদিকে দূষণের মাত্রাও কমবে। রাজ্য পরিবহণ নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই নতুন ৫০টি ই-বাস পথে নামানো হবে।সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে পরিবহণ কর্তাদের অভিমত, এই বাসগুলি কলকাতার পথে নামলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমবে। একই সঙ্গে এতগুলো বাস পথে নামলেও তার কারণে পরিবেশ কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।
কলকাতায় আগেই ই-বাস পরিষেবা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন রুটে ৮০টি ই-বাস চলছেও।পাশাপাশি নতুন বাসগুলি শুরু হলে মোট ১৩০টি ই-বাস চলবে কলকাতায়। নতুন যে বাসগুলো আসবে, সেগুলো নিউ টাউন, বলাকা এবং সাপুরজি ডিপো থেকে চলবে বলে পরিবহণ নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে।পাশাপাশি জানা যাচ্ছে যে, রাজ্য বিদ্যুত্ দফতরও পাঁচটি ইলেকট্রিক গাড়ি পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করল। বিদ্যুত্ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পেট্রোল-ডিজেলের দাম রোজ যে হাড়ে বেড়ে চলেছে, এতে খরচা যেমন বাড়ছে পাশাপাশি দূষণও বাড়ছে।সব দিক মাথায় রেখে ওই দফতর ব্যাটারিচালিত গাড়ি পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করল।
রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বিদ্যুত্মন্ত্রী-সহ মোট পাঁচ জন এই গাড়িগুলো ব্যবহার করবেন। আপাতত পাঁচ বছরের জন্য লিজ নিয়ে গাড়িগুলো চালানো হচ্ছে বলে বিদ্যুত্ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। শহরে এই গাড়ি চার্জ দেওয়ার জায়গার অভাব রয়েছে, তাই বিদ্যুত্ দফতরেই আপাতত গাড়িগুলোর চার্জের ব্যবস্থা থাকছে।এই প্রচেষ্টার শুরু থেকেই বেশ প্রশংসা অর্জন করেছে।আন্তর্জাতিক বিদ্যুত্ এজেন্সির ২০২০ গ্লোবাল ইলেকট্রিক ভেহিকেল আউটলুক রিপোর্টে দেশের একমাত্র শহর হিসাবে কলকাতার ই-বাস পরিষেবার নামই উঠে আসে শীর্ষে।চিনের শেনঝেন, ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি ও চিলির সান্তিয়াগোর সঙ্গে চতুর্থ শহর হিসাবে উঠে এসেছে কলকাতার নামও।