আজ প্রেস কনফারেন্সে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে আজ কলেজ স্কোয়ারে প্রেস কনফারেন্স

পল্লবী কুন্ডু : আজ ১৬ই ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি(West Bengal Government School Teachers Association) কলকাতা কলেজ স্কোয়ারে বিকেল ৪ টে থেকে প্রেস কনফারেন্স(Press conference) আয়োজন করেছে। এদিনের কনফারেন্সে উপস্থিত থাকবেন ডক্টর প্রদীপ কুমার বসু, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, হিন্দু স্কুল। রুপক হোমরায়, জাতীয় শিক্ষক এবং প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, বিধান নগর গভর্নমেন্ট হাই স্কুল। থাকছেন, পাপিয়া সিংহ নাগ, জাতীয় শিক্ষিকা এবং প্রধান শিক্ষিকা, সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্মেন্ট গার্লস্ হাই স্কুল।এছাড়াও থাকবেন শাশ্বতী অধিকারী, ভারপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষিকা, বেথুন কলেজিয়েট স্কুল। শম্পা নায়েক, ভারপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষিকা, মাল্টিপারপাস গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল, আলিপুর। থাকবেন দীপক দাস, সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি।
পশ্চিমবঙ্গে সুপ্রাচীন সরকারি বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৯। এর মধ্যে ২৪ টি ছাত্রদের, ১২ টি ছাত্রীদের এবং ৩ টি কো-এডুকেশনাল। এই সমস্ত সুপ্রাচীন সরকারি বিদ্যালয়গুলির মোট শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা প্রায় ২000 থেকে ২২00। এরমধ্যে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা পদ অর্থাৎ প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ শিক্ষক-শিক্ষিকার পদ শূন্য। শূন্যপদের মধ্যে রয়েছে প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষিকা, সহকারী প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষিকা, সহকারী শিক্ষক/সহকারী শিক্ষিকা, গ্রন্থাগারিক, অফিসকর্মী, গ্রুপ ডি কর্মচারী – যেমন দারোয়ান; নাইট গার্ড; সুইপার; পিয়ন ইত্যাদি।
এই সুপ্রাচীন সরকারি বিদ্যালয়গুলির বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকার শূন্যপদ পূরণের জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে (পি. এস. সি. এর মাধ্যমে) নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগ করার সময় পি. এস. সি. এর শূন্যপদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির মধ্যে সুস্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করা থাকে যে, যে কোনো ধরনের শিক্ষক পদে মহিলা আবেদনকারীরা এবং শিক্ষিকা পদের জন্য পুরুষ আবেদনকারীরা আবেদন করতে পারবেন না। এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই সুপ্রাচীন সরকারি বিদ্যালয়গুলির শিক্ষক/শিক্ষিকা পদ গুলি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট নির্দেশনামার ভিত্তিতে ছাত্রদের স্কুলের জন্য শিক্ষক পদ এবং ছাত্রীদের স্কুলের জন্য শিক্ষিকা পদগুলি সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের কোনও আধিকারিকের সাধারণ অর্ডারের ভিত্তিতে কোনভাবেই এই নিয়ম-নীতিকে লংঘন করা যায় না।
যদি বলপূর্বক এই নিয়মের অন্যথা হয় অর্থাৎ শিক্ষক পদে শিক্ষিকা এবং শিক্ষিকা পদের শিক্ষকের নিয়োগ করা হয় তবে একাধিক সমস্যার সৃষ্টি হয় যার ফলে কেবলমাত্র যে চাকুরীগত অসুবিধা সৃষ্টি হয় তাই নয় নিয়মিত বেতন প্রাপ্তির সুযোগের বঞ্চনা, অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধাসহ বঞ্চনা এবং সামগ্রিকভাবে বিদ্যালয় শিক্ষার পরিচিত চিত্রের অবমাননা বহু সমস্যার জন্ম হয়। সম্প্রতি সমস্ত নিয়মনীতি লংঘন করে ছাত্রদের স্কুলে (যেমন হেয়ার/ হিন্দু স্কুলে) অ্যাসিস্ট্যান্ট মাস্টার এর শূন্যপদে অ্যাসিস্ট্যান্ট মিস্ট্রেস নিয়োগ করা হয়েছে। যদি এই কাজটা ৩৯ টি সরকারি বিদ্যালয়গুলির সর্বত্রই করা হয় তবে শিক্ষক/শিক্ষিকা পদ গুলো ওপেন পোস্ট হয়ে যায়, অর্থাৎ যে কোন শিক্ষক/শিক্ষিকা যে কোন স্কুলে(ছাত্র/ছাত্রী/কো-এডুকেশনাল) নিযুক্ত হতে পারেন।
এই সুপ্রাচীন সরকারি বিদ্যালয়গুলির পি. এস. সি. এর মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত শিক্ষক বা শিক্ষিকা পদ গুলিকে ওপেন পোস্ট ঘোষণা করা হয়নি। অর্থাৎ, বর্তমানে যে নিয়ম আছে সেই নিয়ম অনুযায়ী কখনোই শিক্ষক পদে শিক্ষিকা এবং শিক্ষিকা পদে শিক্ষক নিয়োগ করা যায় না।
সমিতির অভিযোগ অথবা যাকে বক্তব্যও বলা যেতে পারে, তা হলো -আজ পর্যন্ত এই সুপ্রাচীন সরকারি বিদ্যালয়গুলির শিক্ষক/শিক্ষিকা পদের চরিত্রের দোহাই দিয়ে এই কাজটি হয়নি। তাই হঠাৎ করে শিক্ষক পদে শিক্ষিকা নিয়োগ অজস্র সরকারি নিয়মকে লংঘন করছে। বিশেষত দূরবর্তী জেলার সুপ্রাচীন সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে দীর্ঘদিন ধরে বদলির অপেক্ষায় থাকা শিক্ষক বা শিক্ষিকা কেবলমাত্র বাড়ির কাছাকাছি শিক্ষক/শিক্ষিকা পদ শূন্য নেই এই অজুহাতে বদলি হতে পারেন নি। অথচ যদি শিক্ষকদের জন্য নির্দিষ্ট পদে শিক্ষিকা নিয়োগ করা হতো অথবা শিক্ষিকাদের জন্য নির্দিষ্ট পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হতো তাহলে 10 থেকে 15 বছর দূরবর্তী জেলায় চাকরি করছেন এমন শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাড়ির কাছাকাছি বদলির সুযোগ পেতেন।
এতদিন ধরে যে কাজটি করা হয়নি, হঠাৎ করে নির্বাচনের আগে নির্দিষ্ট কিছু বিদ্যালয়ের জন্য যখন এই কাজটি করা হয় তখন প্রশ্ন জাগে, কাজটি কোন অসাধু উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। বিশেষত এমন অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন যাদের পরিবারের বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখার কেউ নেই তিনিও সরকারের বদলি নীতির জন্য বাড়ি থেকে দূরবর্তী জায়গায় দীর্ঘদিন চাকরি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলা পুরুলিয়ায় চাকরি করছেন, চিকিৎসা করার সুযোগ পাচ্ছেন না, তাকেও তার বাড়ির কাছে কলকাতায় বদলি না করার অমানবিক কাজটি শিক্ষা দপ্তরের এই আধিকারিকরা দিনের-পর-দিন করে চলেছেন। আর আজকে যদি কলকাতার বুকে কোনো শিক্ষিকার প্রথম নিয়োগ হিন্দু অথবা হেয়ার স্কুলে হয় তাহলে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার শিক্ষক-শিক্ষিকারা কি দোষ করেছেন ?
দীর্ঘদিন ধরে বদলির অপেক্ষায় রয়েছেন যারা কেবলমাত্র কলকাতায় শূন্যপদ নেই এই অজুহাতে বদলির সুযোগ পাবেন না, ক্যান্সারের মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়ছেন, চিকিৎসা করার সুযোগ পাচ্ছেন না যে শিক্ষিকা তারা কিভাবে বেঁচে থেকে চিকিৎসা করে তার চাকরি বজায় রাখবেন ? সরকারের সব নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আদৌ এই স্কুল গুলোর জন্য নিযুক্ত নয় এমন শিক্ষকদের হিন্দু অথবা হেয়ার স্কুলে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে। এই সীমাহীন অনৈতিক কাজ মেনে নেওয়া যায় না। এ কেবলমাত্র শিক্ষকদের অসম্মান নয়, মানবিকতার অসম্মান। আমরা জানি না মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী অথবা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অগোচরে যে সমস্ত আধিকারিকরা এই ধরনের কাজ করে চলছেন তারা আদৌ তাদের নির্দিষ্ট পদে থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই সর্বনাশ আর কতদিন সংঘটিত করে চলবেন।
পাশাপাশি, সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত এবং সরকার পোষিত বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির জন্য অনলাইন ব্যবস্থা চালু করে স্বচ্ছতার মাধ্যমে বদলির দাবি করে যে শিক্ষা দপ্তর, তারাই সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির ন্যায্য অধিকার থেকে শুধু যে দীর্ঘদিন বঞ্চিত করছে তাই নয়, এখনো বদলির ক্ষেত্রে কোন অনলাইন পদ্ধতি চালু না করে; বিগত কয়েক বছরে কেবলমাত্র সীমাহীন অনিয়ম সহযোগে নামমাত্র কয়েকটি বদলি সংঘটিত করেছেন শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। পশ্চিমবঙ্গের সুপ্রাচীন 39 টি সরকারি বিদ্যালয় বাদ দিয়ে আরো বেশ কিছু সরকারি বিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। এগুলিকে এন.আই. জি. এস. বা নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভারমেন্ট স্কুল আন্ডার বি.আর. জি.এফ. স্কিম, মডেল স্কুল ইত্যাদি নামে চিহ্নিত করা হয়। মাথায় রাখতে হবে এই স্কুলগুলি সবে মাত্র তৈরি হচ্ছে এবং পশ্চিমবঙ্গের সুপ্রাচীন, ঐতিহ্যশালী 39 টি সরকারি বিদ্যালয় এবং এই নতুনভাবে তৈরি হয়ে ওঠা এন.আই. জি. এস. / মডেল স্কুল সরকারি বিদ্যালয়গুলি চরিত্রগত ভাবে পুরোপুরি আলাদা।
এই নতুন স্কুল গুলির বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে নিয়োগের জন্য পি.এস.সি. এর পক্ষ থেকে যে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল সেই বিজ্ঞাপন অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নাম শিক্ষা দপ্তরের পি.এস.সি.র রেকমেন্ডেশন -এর মাধ্যমে উপস্থিত হয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা এই স্কুলের শিক্ষকদের তাদের জন্য নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ে (এন.আই. জি. এস. / মডেল স্কুল ) নিয়োগপত্র না দিয়ে একদিকে তাদের জন্য নির্দিষ্ট বিদ্যালয় দিনের-পর-দিন শিক্ষক-শিক্ষিকার পদ শূন্য রাখছেন, অন্যদিকে ওই ধরনের সরকারি বিদ্যালয়ে (এন.আই. জি. এস. / মডেল স্কুল ) অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অতিথি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে সরকারের অর্থ ব্যয় করছেন।
আবার এই(এন.আই. জি. এস. / মডেল স্কুল ) শিক্ষকদের, যাদের ঐতিহ্যশালী 39 টি সরকারি বিদ্যালয়ে কোনভাবেই নিযুক্ত হওয়ার কথা নয়, তাদের নানান অসাধু উপায়ে সুপ্রাচীন সরকারি বিদ্যালয়ে নিয়োগপত্র দিয়ে এই সুপ্রাচীন ঐতিহ্যশালী সরকারি বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে এক প্রতারণার খেলায় মেতেছেন শিক্ষা দপ্তরের একশ্রেণীর আধিকারিকবৃন্দ। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক বৃন্দদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এই প্রচার শুরু হয়েছে, যে সমিতি সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকদের জন্য নির্দিষ্ট পদে শিক্ষিকাদের নিয়োগের বিরোধিতা করছে। বিষয়টি আদৌ তা নয়। সমিতি সর্বস্তরে বিশ্বাস করে, শিক্ষাদান প্রণালির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের লিঙ্গ অর্থাৎ তিনি শিক্ষক না কি শিক্ষিকা তার কোন সম্পর্ক নেই।
এক্ষেত্রে শিক্ষাদান প্রণালী মুখ্য, অর্থাৎ শিক্ষাদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শিক্ষক না শিক্ষিকা সেটা সমিতি কোন স্তরেই মান্যতা দেয় না। কিন্তু প্রশ্ন হল এত বছর ধরে সরকারি নিয়ম নীতি অনুযায়ী শিক্ষকদের এবং শিক্ষিকাদের জন্য নির্দিষ্ট পদ ভিন্ন ভিন্ন বিদ্যালয় রয়েছে। যদি শিক্ষাদপ্তরের উদ্যোগে এবং সরকারের সর্বস্তরের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঐতিহ্যশালী 39 টি সরকারি বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা পদের ওপেন পোস্টে কনভার্শন করে দেওয়া হয়, তাহলে একদিকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা লাভবান হবেন অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষাদান প্রণালির সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবে। যার ফলে সার্বিকভাবে শিক্ষার পরিবেশের উন্নতি হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পদগুলিকে ওপেন পোস্ট না করে, যদি বিশেষ উদ্দেশ্যে একটি বা দুটি ঐতিহ্যশালী সরকারি বিদ্যালয় গুটিকয়েক শিক্ষিকার জন্য এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে সরকারের আধিকারিকদের অসাধু উদ্দেশ্য প্রমাণিত হয়ে যায়।
সমিতি সর্বস্তরে সরকারের আধিকারিকদের অসাধু ক্রিয়া-কলাপ- এর বিরোধিতা করছে, এবং দাবি করছে যে পশ্চিমবঙ্গের 39 টি সরকারি বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার পদ নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তন করে ওপেন পোস্ট করা হোক। এর পাশাপাশি এই ঐতিহ্যশালী সরকারি বিদ্যালয়গুলির সমস্ত শিক্ষক/শিক্ষিকার শূন্যপদ পি.এস.সি.র মাধ্যমে নতুন নিয়োগ দ্বারা সঠিকভাবে পূরণ করা হোক, যার ফলে এই ঐতিহ্যশালী সরকারি বিদ্যালয় তাদের গৌরব আবার ফিরে পেতে পারে। একইসঙ্গে 39 টি সুপ্রাচীন ঐতিহ্যশালী সরকারি বিদ্যালয়গুলিকে শিক্ষার অধিকার আইন 2009 অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রী উভয়ের জন্যই উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং এই স্কুলগুলিকে হেরিটেজ এবং সেন্টার অব এক্সিলেন্স ঘোষণার উদ্যোগ সরকার নেয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মানচিত্রে এক অসাধারণ বৈপ্লবিক পরিবর্তন সংঘটিত হবে। সমিতির সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়ে সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু অসাধু উদ্দেশ্য পূরণের জন্যে এই 39 টি সুপ্রাচীন ঐতিহ্যশালী সরকারি বিদ্যালয়গুলিকে কালিমালিপ্ত করার প্রয়াস গ্রহণ করলে সমিতি সর্বশক্তি দিয়ে তার বিরোধিতা করবে।
সংশ্লিষ্ট বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই আজকের এই কনফারেন্স আয়োজন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।