ভাতৃদ্বিতীয়া শেষ হতেই, গো বন্দনায় মাতলো জঙ্গলমহল
গ্রামবাসীদের মঙ্গল কামনায় প্রত্যেকবারের মতো, এই বারও পালন করা হলো বাদন ও খুটান উৎসব

চৈতালি বর্মন :১৭ই নভেম্বর আজ পশ্চিম মেদিনীপুর (West Mednipur) শালবনি জেলার রামনগর (Ramnagar) নামক এক গ্রামে সবাই মেতে উঠলেন গো বন্দনায় (Go Bandana)। প্রতিবছরের মতো এই বছরও ওই গ্রামের সকল গ্রামবাসী ভাতৃদ্বিতীয়ার টিক পরের দিন সবাই মিলে মেতে উঠলো ওই অনুষ্ঠনে।এই দিন সারা গ্রাম জুড়ে ভক্তির শহীদ হলুদ জল দিয়ে গো মাতার পা ধুয়ে হয়, গলায় বনফুলের মালা পরিয়ে,কপালে সিঁদুরের টিপ পরিয়ে আরাধনা করা হলো গোটা গ্রাম জুড়ে।
গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানা গেছে পুরোনো ঐতিহ্য, রীতিনীতি মেনে প্রতিবছর এই পুজো করা হয়। এই বছরও করোনা পরিস্থিতি মধ্যেও প্রতিবছরের মতো এই বছরও পালন করা হল এই অনুষ্ঠান। সমস্ত রকম নিয়ম মেনে ,দূরত্ব বজায় রেখে ,সকলে মুখে মাস্ক পরে পালন করলো এই পুজো, এই পুজো করা হয় গো মাতা এবং গ্রামবাসীদের সকলের মঙ্গল কামনায়।
সারাবছর ধরে এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকে সকল গ্রামবাসীরা ,দিনটিতে গ্রামের সকলে আনন্দে মেতে ওঠে। বাড়িতে বাড়িতে তৈরী করা হয় নানারকমের পিঠে, গোমাতা কে সাজানো হয় নানা রং দিয়ে এবং সেইসঙ্গে যত্নসহকারে খাওয়ানো হয় পিঠে।
আমাদের সমাজে শিব ঠাকুরের বাহন হিসাবে গো মাতা কে সকলেই সদ্ধা করে, সেইজন্য যাতে সেইদিন তার কোনো অবহেলা না হয় তার দিকে নজর রাখে সকলেই। আদিবাসী কুড়মি জন জাতি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষেরাবাঁদনা পরবের অনুষ্ঠানে মেতে উঠেন।বাদনা পর্ব শেষ হয় খুটান পর্ব দিয়ে যা চোখে পড়ার মতো,নিজে চোখে না দেখলে তা বলা অসম্ভব। সর্বস্তরের মানুষ গরু,মোষ নিয়ে খুটান উৎসবে অংশগ্রহণ করেন ,গ্রামের মধ্যে যাদের গরু জয়লাভ করে তাদের গ্রামের পক্ষ থেকে সন্মান জানাও হয়।