জল্পনা-কল্পনা কাটিয়ে,এবারের দুর্গোৎসবে অতি সক্রিয় ভূমিকায় প্রশাসন
কলকাতার পুজো প্যান্ডেলগুলিতে কোভিড বিধি ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার।

পল্লবী কুন্ডু : চলতি করোনা পরিস্থিতি নিয়েই দেদার চলছে পুজোর ঘটা-পটা। পাশাপাশি কলকাতাবাসীর সুরক্ষার দিকেও কড়া নজর দিয়েছে প্রশাসন। কলকাতার পুজো প্যান্ডেলগুলিতে কোভিড বিধি ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার(lalbazar)। তাদের সিদ্ধান্তে প্রতিটি প্যান্ডেলে একজন করে এসআই পদমর্যাদার পুলিশকর্মী এই নোডাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। নোডাল অফিসাররা খতিয়ে দেখবেন ব্যবস্থা।
সমস্ত বিধি-নিষেধ মানা হচ্ছে কিনা সেদিকে কড়া নজর রাখবেন তাঁরা। নোডাল অফিসাররা রিপোর্ট দেবেন সংশ্লিষ্ট ওসিকে। তাঁরা রিপোর্ট দেবেন ডিসিকে। তবে বারংবার-ই চলতি পরিস্থিতিতে পুজো বন্ধের দাবি উঠেছে একাধিক মহল থেকে। বারোয়ারি দুর্গাপুজো বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানির পর রাজ্য সরকারের রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আদালত বলেছে, ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের কী পরিকল্পনা রয়েছে তা মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে আলাদা করে রিপোর্ট দিতে হবে।এই বিষয় নিয়ে সোমবার রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর আদালত গাইডলাইন ঠিক করে দেবে।
এমনিতে চিকিত্সকদের যৌথ মঞ্চ সপ্তাহ দুয়েক আগেই চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁরা আবেদন করেছিলেন, এবার পুজোয় লাগাম টানুক সরকার। তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করে এও বলেছিলেন, রাজ্য সরকার যদি পুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে এক ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হবে। হাসপাতালে রোগীদের জায়গা দেওয়া যাবে না। দিল্লি সরকারও চিত্তরঞ্জন পার্কের কালীবাড়ি ছাড়া অন্য কোনও পুজোয় অনুমতি দেয়নি। এমনকি ঘটপুজোতেও না। যদিও মুখ্যমন্ত্রী আগের দিন বলেছেন, দিল্লিতে পুজোর অনুমতি দেয়নি, আমি কিন্তু দিলাম।
কিন্তু পুজো পরবর্তী সময়তে একটা বড়ো ধাক্কা যে খেতে চলেছে রাজ্য তা নিয়ে এখনই কালো মেঘ জমেছে প্রশাসনিক মহলে।