মহালয়ার পূর্নলগ্নে কাক ভোর থেকেই ভিড় জমেছে জাজেস ঘাট থেকে বাবুঘাট, বাগবাজার ঘাট শহরতলীর একাধিক গঙ্গার ঘাটে
অতীতের প্রথাকে স্মরণে রেখেই আজ চললো গঙ্গার ঘাটের তর্পন প্রথা।

পল্লবী কুন্ডু : তথাকথিত ভাবেই অতীত থেকে যে প্রথা চলে আসছে সেই প্রথাই অটল থাকলো আজকের দিনে দাঁড়িয়েও।মহালয়ার এই পূর্ণ তিথিতে নাকি বংশের পূর্বপুরুষেরা তাদের পরিবারের লোকের কাছ থেকে জলের জন্য সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন। আর সেই প্রথাকে স্মরণে রেখেই আজ চললো গঙ্গার ঘাটের তর্পন প্রথা। করোনা অতিমারীর জন্য যে মানুষগুলি এতদিন ঘরে বসে ছিলেন আজ তারাও ভোরের মুক্ত বাতাসে বেরিয়ে পড়লেন। তাদের সকলকে দেখলে কখনো মনেই হবেনা যে করোনা নামের কোনো অতিমারীর জন্য ঘুম উড়েছে শহরবাসীর।
আজ বৃহস্পতিবার সাথে মহালয়া জেক বলা হয়ে থাকে দিন ও বার দুই-ই শুভ আর সেই ক্ষণ কেই হাতছাড়া করতে চাইলেন না পূর্ণ্যাথীরা। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এই বছরেও কাক ভোর থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল সকল মানুষের।যদিও চলতি বছর করোনা আবহে একাধিক নিয়ম বিধি বেঁধে দেওয়া হলেও সেই বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাস্ক ছাড়াই গঙ্গার ঘাটে চলল তর্পন।জাজেস ঘাট থেকে বাবুঘাট, বাগবাজার ঘাট শহরতলীর একাধিক গঙ্গার ঘাটে ভিড় জমায় বহু মানুষই।
যদিও চলতি বছর করোনা আবহে অত্যন্ত কড়া পুলিশ প্রশাসন। বারবার মাইকিং করা হচ্ছে যাতে বজায় থাকে সুরক্ষা বিধি। মুখ থেকে যাতে কোনভাবেই মাস্ক না খোলা হয়। তবে সেই সব নিয়ম-নীতিকে দূরে সড়িয়ে দেদার চললো পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি। দেবী পক্ষের শুরুর মুহূর্তেই যদি জন সাধারণের এরূপ আচরণ বিধি থাকে তবে মায়ের আগমনের সাথে পুজোর দিন গুলিতে যে কি করবেন তারা তা নিয়েই এবার চিন্তায় প্রশাসন। তবে পাশাপাশি দেবী দুর্গার প্রতিও অগাধ ভরসা রেখেছেন তার সন্তানেরা।