তৃতীয়া ও চতুর্থী থেকেই শহরকে সুরক্ষিত রাখতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত প্রশাসন
তৃতীয়া ও চতুর্থী থেকেই শহরের বড় পুজো মণ্ডপ চত্বরে মোতায়েন থাকবে পুলিশ। ছোট-বড় মিলিয়ে সব পুজোয় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে পঞ্চমী থেকে।

পল্লবী কুন্ডু : সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পুজো হচ্ছে। তাই শহরবাসীও আনন্দে আত্মহারা হয়েছে। তবে করোনাসুরের কথা ভুললে চলবেনা। তাই বাড়তি সচেতনতা মেনে চলতে হবে অবশ্যই। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অতিসক্রিয় ভূমিকা পালন করছে প্রশাসনও। বঙ্গবাসীকে সর্বপ্রকার সুরক্ষা প্রদান করতে তৈরী তারা। আর তাই পুজোর রোড গাইড প্রকাশের পর এবার পঞ্চমী থেকে বাড়তি নিরাপত্তা গ্রহণের সিদ্ধান্ত কলকাতা পুলিশের।
লালবাজার সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, তৃতীয়া থেকেই পথে নামতে পারে কলকাতা পুলিশ। এবার জানা গেল, তৃতীয়া ও চতুর্থী থেকেই শহরের বড় পুজো মণ্ডপ চত্বরে মোতায়েন থাকবে পুলিশ। ছোট-বড় মিলিয়ে সব পুজোয় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে পঞ্চমী থেকে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ২৫টি হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড মোতায়েন থাকবে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, শহরকে ১২টি সেক্টরে ভাগ করে ১৬ জন ডিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, লালবাজারের মূল কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগকারী একাধিক কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকবেন পদস্থ আধিকারিকেরা বলেও লালবাজার সূত্রে খবর ।
জানা যাচ্ছে, ওই দিন থেকে অর্থ্যাৎ তৃতীয়া চতুর্থী থেকে তিন শিফটে পুজোর ভিড় এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে রাস্তায় থাকবেন প্রায় দশ হাজার পুলিশকর্মী। প্রতি বছরের মত এবছরও পুজোর কদিন দর্শনার্থীদের ভিড়ে নজর রাখতে বিশেষ ব্যবস্থার ঘোষণা করল লালবাজার। জানা গিয়েছে, ভিড়ের উপরে নজর রাখতে শহরে ওয়াচ টাওয়ার থাকছে ৫২টি। পাশাপাশি দুর্গাপুজোর কদিনের জন্য বসানো হবে অতিরিক্ত ৭৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা।
এছাড়াও দমকলের গাড়ির পাশাপাশি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য পুলিশের তরফে ১১টি পাইলট কার রাখা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। থাকছে ১৬টি অ্যাম্বুল্যান্সও। দুর্গা পুজোর কদিন বাড়তি নিরাপত্তা গ্রহণের পাশাপাশি এবারের বিসর্জন প্রক্রিয়াও ২৯ শে অক্টোবরের মধ্যে শেষ করার কথা পুজো কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে। এছাড়াও, জানা গিয়েছে, শহর জুড়ে ঘুরে বেড়াবে ৫৭টি র্যাপিড সিটি পেট্রোল এবং পুলিশ মোবাইল ভ্যান। শহরের সাত জায়গায় থাকবে পুলিশের সহায়তা ক্যাম্প। এছাড়াও, ভিড়ে কেউ হারিয়ে গেলে তাদের জন্য থাকবে লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের চারটি মিসিং পার্সনস স্কোয়াড। জরুরি অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য শহরের বড় পুজো মণ্ডপগুলির কাছে থাকবে কুইক রেসপন্স টিমের ১৩টি দল।
অতএব, এবারের পুজোতে রাজ্যবাসীকে বাড়তি পরিষেবা এবং সুরক্ষা দিতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত প্রশাসন।