কি কি উপায়ে ভালো রাখা যাবে কিডনি? জেনে নিন সবিস্তারে
এই নয়টি উপায়ে সারাজীবন ভালো রাখা যাবে কিডনি
সাম্প্রতিক কালে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। আমাদের দৈনন্দিন লাইফস্টাইলে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের কিডনি। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে কিছু জটিল সমস্যা। এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই সময় থাকতেই আমাদের সচেতন হতে হবে ও শরীরের প্রতি আরো যত্নশীল হতে হবে। জেনে নিন কিডনি ভাল রাখতে কী করবেন, কী করবেন না।
১। অল্পেতেই মুঠো মুঠো ওষুধ বিশেষ করে পেনকিলার বা ব্যথার ওষুধ খাবেন না। এর জেরে কিডনি বিকল হতে পারে কিংবা দেখা দিতে পারে কিডনির ক্রনিক অসুখ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের নিয়ম কানুন মেনে চলুন বা প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের ছোটখাটো সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করুন।
২। ব্লাড সুগারের মাত্রা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। মানবশরীরে একটা ছাকনির মতো কাজ করে কিডনি। শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ ছেঁকে নেয়। এক্ষেত্রে যদি কারও ব্লাড সুগারের মাত্রা অত্যধিক হয় তাহলে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এর জেরে শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে অর্থাৎ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন মারণ রোগ। তাই নিয়মিত সুগার চেক করান এবং কড়া নিয়মের মধ্যে থাকুন।
৩। পর্যাপ্ত জলপানের থেকে বড়ো ওষুধ আর নেই। নিজের শরীর আর্দ্র রাখতে পরিমিত জল খান। কম জল খাওয়া হলে কিডনিতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দিনে আট থেকে ১০ গ্লাস জল খাওয়া অভ্যাস করুন। এর ফলে ক্ষতিকর দূষিত পদার্থগুলো কিডনি থেকে বেরিয়ে যাবে এবং কিডনি সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
৪। অতিরিক্ত মেদ কিডনির পক্ষে ক্ষতিকর। তাই সঠিক ওজন বজায় রাখার দিকে নজর দেয়া উচিত। খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন হ্রাস টানা প্রয়োজন তেমনই প্রয়োজন শরীরচর্চার। সময় বের করে যোগাসন কিংবা ফ্রি-হ্যান্ড একসারসাইজ বা জিম করে অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলুন। তবে ডায়েট করতে গীতে যেন অপুষ্টির না হতে হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
৫। অতিরিক্ত ধূমপান এবং মদ্যপান এমনিই শরীরের জন্য খারাপ। এর ফলে কিডনিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে বা কিডনি বিকল পর্যন্ত হতে পারে। তাই ধূমপান এবং মদ্যপান যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
৬। যাঁদের হাই প্রেশারের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের কিডনি দ্রুত খারাপ হতে পারে। তাই নিয়মিত প্রেশার চেক করা অত্যাবশ্যকীয়।
৭। অস্বাস্থ্যকর খাবার, বিশেষ করে তৈলাক্ত, ভাজাভুজি জাতীয় খাবার কিংবা ফাস্টফুড কিডনির পক্ষে ভাল নয়। তাই খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের কম সোডিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
৮। প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করা উচিত। এর ফলে শরীর থাকে ঝরেঝরে। জিমের তুলনায় যোগাসনের অভ্যাস করলেই ভাল। সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন যোগাসন অভ্যাস করুন।
৯। রুটিন চেকআপ করানোর ক্ষেত্রে গাফিলতি না করাই ভালো। প্রেশার, সুগার নিয়ম করে চেক করান। বছরে অন্তত দু’ থেকে তিনবার চেকআপ করালে শরীরের খুঁটিনাটি সমস্যা আপনার নখদর্পণে থাকবে। ফলে সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন আপনি।