জোর চর্চা : তদন্তের মুখে কি বলতে পারেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী ?
রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতিতে অনেকেরই নাম আসতে পারে : জেলা ভিত্তিক স্বজন পোষণের দিকেই ইঙ্গিত করছে।

নিউজ ডেস্ক : প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেরার বিষয় নিয়ে নানান জল্পনা তারই হয়েছে। রাজনৈতিক চর্চায় উঠে আসছে যদি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তদন্তকারীদের যদি এই কথা জানিয়ে দেন , তাহলে বিপদ অসন্ন্য।
১) কার নির্দেশে এই বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরী হয় ?
উত্তর : যিনি এই কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনিই বলতে পারবেন কেন এই কমিটি তৈরি করা হয়েছিল।
২) কি কাজ করবে এই কমিটি , এটা কে ঠিক করেছেন ?
উত্তর : এই কমিটি কি কাজ করবেন সেটা ঠিক করেছিলেন আদেশ কর্তী।
৩) কিভাবে এই নিয়োগ তালিকা তৈরি হল ?
উত্তর : যারা চাকরিতে নিয়োগ হয়েছে তারাই বলতে পারবেন তাদের নাম কে যুক্ত করেছেন বা তাদের তদারকি কে করেছেন ?
৪) কেন এদের অবৈধ্য নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে ? বিনিময় কি ছিল ?
উত্তর : যারা চাকরি পেয়েছেন তারা কিসের বিনিময়ে চাকরির নিয়োগ পত্র পেয়েছেন তারাই বলতে পারবেন।
৫) কোথা থেকে এই তালিকা হল ?
উত্তর : এটা জেলা ভিত্তিক নেতাদের তালিকা পাবেন। তারাই এই কাজের পিছনে। কোন একটি বিধানসভার নয়।
৬) কারা নির্দেশ দিয়েছেন নিয়োগ করতে ?
উত্তর : আমি অনেককেই চিনিনা যারা নির্দেশ দিতো এই নিয়োগের ব্যাপারে।
৭) আপনি কোনো টাকা নিয়েছেন ?
উত্তর : আমার ব্যাঙ্ক একাউন্ট, সম্পত্তি পরীক্ষা করে দেখুন , অবৈধ্য কোনো টাকা আছে কি না ?
৮) নিয়োগের সমন্ধে কোথায় কথা হত ?
উত্তর : সঠিক জানি না। নিয়োগের রফা বৈঠক কোথায় হত সেটার খোঁজ নিন ?
৯) আপনার কাছে কোনো ফোন আসতো কি ?
উত্তর : কে কাকে ফোন করে নিয়োগের কথা বলতো সেটা খোঁজ নিন ?
১০ ) আপনি কি নির্দোষ ?
উত্তর : প্রয়োজনে মুখোমুখি বসান , আমি রাজি ওনারা কি বসবেন ?
সূত্র মারফত জানাযাচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রণজিৎ ব্যাগ কমিটির রিপোর্ট অবশ্য অন্য কথা বলছে। তাতে শুধু শিক্ষা দফতর নয় বাইরের বহু মানুষ আছেন তাদের প্রভাব কিছু কম নয়। কোনো এক ব্যক্তির দুর্নীতি এটা নয় , জেলা ভিত্তিক নেতারাও এর সাথে জড়িত। এমনও হতে পারে চাকরির সুযোগ নিয়ে রাজ্য ও জেলার প্রভাবশালীরাও যুক্ত হতে পারেন। সব মিলিয়ে এখনও অধরা আসল সত্য টা কি ?
বলা যেতে পারে , একটা বড় অঙ্কের যোগ আছে এই দুর্নীতির পিছনে। ২০২১ এর বিধানসভার আগে তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া বেশ কয়েকজন জেলার নেতা স্বীকার করেছিলেন যে শিক্ষক নিয়োগে চূড়ান্ত দুর্নীতি আছে। রাজ্য সরকার একটু সতর্ক হলে বোধহয় এই বিপদ কিছুটা সামাল দিতে পারতেন।