Nation

কেন পালন করা হয় বিজয় দিবস ! কি ঘটেছিল বিজয় দিবসের দিন ঢাকায় ?

আগামী ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে বাংলাদেশ

চৈতালি বর্মন : ১৬ ডিসেম্বর। দিনটি আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের(Bangladesh) বিজয় দিবস। পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীও সেদিনটিকে বিজয় দিবস পালন করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের দিনেই ঢাকার রমনা রেসকোর্সে ভারতীয় কমান্ডর জগজিত্‍ সিং(Jagjit Singh)অরোরার কাছে আত্মসমর্পন করেন ৯৩ হাজার সেনা সমেত পাকসেনা কমান্ডর লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে নিয়াজি(A. A. K. Niazi)। স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ।সেদিন কলকাতায় অবস্থিত ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দফতর থেকে কয়েকজন সাংবাদিকদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে উড়ে যায় ভারতীয় সেনার হেলিকপ্টার। তাতে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিত্‍ সিং অরোরা, মেজর জেনারেল এফআর জোকব ও অন্যান্যরা।

সেদিন কলকাতায় অবস্থিত ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দফতর থেকে কয়েকজন সাংবাদিকদের নিয়ে ঢাকার(Dhaka) উদ্দেশে উড়ে যায় ভারতীয় সেনার হেলিকপ্টার। তাতে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিত্‍ সিং অরোরা, মেজর জেনারেল এফআর জোকব ও অন্যান্যরা।হেলিকপ্টারটি ঢাকার মাটি স্পর্শ করতেই ওঠে ‘জয় বাংলা’ রব। পাশাপাশি ছিল বাংলাদেশিদের তরফে ভারতীয় সেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জয়ধ্বনি। এরপর ১৯৭১ সালে এই দিনে পরাজিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি ঢাকার রমনা রেসকোর্সে ৯৩,০০০ সৈনিকদের সঙ্গে জেনারেল জগজিত্‍ সিং আরোরার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।আত্মসমর্পণের চুক্তিপত্রে লেখা ছিল, ‘পূর্ব পাকিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতীয় ও বাংলাদেশ বাহিনীর কমান্ডিং চিফ লেফটেন্যান্ট জগজিত্‍ সিং অরোরার কাছে পাকিস্তান পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানের সকল সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে আত্মসমর্পণে সম্মত হল। পাকিস্তানের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীসহ সব আধা-সামরিক ও বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেত্রে এই আত্মসমর্পণ প্রযোজ্য হবে।এই গৌরবময় দিনটির আগে মার্চ থেকে চলা দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে ৩০ লক্ষ নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হার্মাদরা। ১৩ দিনের যুদ্ধে বাংলাদেশে যুদ্ধরত ৩৯০০ ভারতীয় সেনাও শহিদ হন। ১০ হাজারেরও বেশি সেনা জখম হন যা পরবর্তী জীবনটাই বদলে দেয় তাঁদের।

৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনা যখন একযোগে ভারতের মোট এগারোটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়, সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা সেনা অভিযানের কথা ঘোষণা করেন ভারতের তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী(Indira Gandhi)। এরপর ১৩ দিন ধরে ধরে চলেছিল তীব্র যুদ্ধ। এই যুদ্ধের শেষে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের কাছে যুদ্ধে হেরে আত্মসমর্পণ করে এবং এরপর পাকিস্তানের পূর্বতন পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে।যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনা বাংলাদেশের অল্প কিছু জায়গাতেই তাদের সামরিক শক্তি সঙ্গবদ্ধ করে রেখেছিল। এদিকে যৌথবাহিনী তাদের এড়িয়ে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ঢাকার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। বাংলাদেশের জনতাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযোদ্ধা ও ভআরতীয় সেনার সহায়তায় এগিয়ে আসে। আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণার মাত্র ১৩ দিনের মাথায় যৌথবাহিনী ঢাকার দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। আর সেদিনই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading