বদলায়নি সমাজ ! ফের গর্ভবতী মহিষকে হত্যার ঘটনা উঠে এলো জন প্রকাশ্যে
গর্ভবতী এক মহিষকে হত্যা করে তার শরীরে বেড়ে ওঠা ভ্রুণকেও পিষে মেরে ফেলা হল।
পল্লবী কুন্ডু : ফের পশু হত্যার ঘটনা সামনে এলো। শুধুমাত্র হত্যা নয় রীতিমতো, যন্ত্রণাদায়ী একটা নির্মম হত্যা। গর্ভবতী এক মহিষকে হত্যা করে তার শরীরে বেড়ে ওঠা ভ্রুণকেও পিষে মেরে ফেলা হল। মল্লপুরম জেলার পুকটুপদ্দম গ্রামের পুঞ্চার জঙ্গলের ঘটনা। জঙ্গলে চোরাশিরাকীদের যাতায়াত বেড়েছে এমনি খবর যায় কেরলের বনবিভাগের কাছে। তারপরেই সেই মোতাবেক ১০ অগাস্ট জঙ্গল পরিদর্শনে যান আধিকারিকরা। আর তাতেই মহিষ হত্যার এই পাশবিক হত্যার ঘটনা সামনে আসে।
মহিষকে খুন করে, তার হাড়, দেহ সহ শিকারের কিছু অস্ত্র জঙ্গলে ছেড়ে চলে যায়। জঙ্গলের ভিতর থেকে সেগুলি উদ্ধার হয়। মহিষের মরদেহ দেখে বনবিভাগের আধিকারিকরা বুঝতে পারেন যে মৃত্যুর সময় মহিষটি গর্ভবতী ছিল। তারপর ধীরে ধীরে গোটা ঘটনাই সামনে আসে। ৬ জন ব্যক্তি মাইল ওই গর্ভবতী মহিষটিকে হত্যা করা হয়।
জানা গেছে, এই হত্যার মূল অভিযুক্ত হলো আবু। সে ই গুলি করে মারে বন্যপশুটিকে। তার বাড়ি থেকেই ২৫ কেজি মহিষের মাংস উদ্ধার করেছে বনদফতর। আবু সহ আরও ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার আদালতে তোলা হয় তাদের। তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী হত্যা সহ আরও অভিযোগ রয়েছে। এরা ছাড়াও আর কেউ এই হত্যার পিছনে রয়েছে কিনা, তা ইতিমধ্যেই খুঁতিয়ে দেখছে।
সম্প্রতি আনারসের সাথে বাজি খাওয়ানো হয়েছিল মা হাতিকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র উত্তাল হয়েছিল সামাজিক মাধ্যম। ঝড় তুলেছিল মানুষ। কিন্তু তাতে লাভ কি কিছু আদৌ হয়েছে ? মানুষের ভেতরে যে হিংস্র পশুর বাস তা যে বন্যপ্রাণীদের থেকেও ভয়ানক। দুদিন সবাই এক হয়ে বদল আনার চেষ্টা চালালেও বদল ঘটেনি সমাজের।