” রাজ্ করার জন্য নীতির নামি রাজনীতি ” – ভগবত মান

তিয়াসা মিত্র : একাধারে তিনি কৌতুক মঞ্চনিভেতা অন্য দিকে দুবারের সংসদ এবং এখন তিনি খ্যমন্ত্রী! মঞ্চ পেলেই তিনি যে বাজিমাত করতে পারেন তা আবারও প্রমাণ করে ছাড়লেন। তা সে কৌতুকাভিনয়ের মঞ্চ হোক বা রাজনীতির মঞ্চ। ইতিমধ্যে তাঁকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কির সঙ্গেও তুলনা করা শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি ‘পঞ্জাবের জেলেনস্কি’ ভগবত মান।

এই বিধাসভা নির্বাচনে তিনি নব নির্বাচিত পাঞ্জাবের মূক্ষমন্ত্রী। তাঁর কাঁধে ভর করেই এ বারের বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরিণী পার করেছে অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি (আপ)। বিজেপি,কংগ্রেসকে ধুয়েমুছে সাফ করে ১১৭টি আসনের মধ্যে ৯২টি আসন জিতে ক্ষমতায় আপ। শিখরাজ্যে ‘ঝাড়ু’ জয়ধ্বজ তুলে ধরার আসল কারিগর সেই মঞ্চাভিনেতা ভগবন্ত মান। কৌতুক অভিনেতা থেকে মুখমন্ত্রী এই পুরো সফরে তার একমাত্রও অস্ত্র ছিল তার মঞ্চ। যার জোরে আজ তিনি তিন কোটি মানুষের প্রতিনিধি। তাঁদের সুখ-দুঃখ, ভাল থাকা, ভাল রাখা— সব কিছুই এখন তাঁর জিম্মায়।

তবে সাম্প্রতিক একটি বিদদেও খুবই ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়াতে। সাল ২০০৬ তে তিনি একটি কমেডি রিয়ালিটি শোতে তিনি তখন বিখ্যাত প্রতিযোগী। আর বিচারকের আসনে ছিলেন তাঁর বর্তমান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী নভজ্যোত সিংহ সিধু। এক জন হাসাতেন, অন্য জন বিচারকের আসনে বসে হাসতেন। তাঁর কৌতুকের তুল্যমূল্য বিচার করতেন। কিন্তু সময় যে মানুষকে অনেক কিছু শিখিয়ে যায়, অনেক কিছু দিয়ে যায়, আবার তেমনই অনেক কিছু ছিনিয়েও নেয়, তার হাতগরমে উদাহরণ এক জন বিচারক, এক জন প্রতিযোগী, আবার রাজনীতির আঙিনায় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী— সিধু এবং মান। প্রথম জন ব্যর্থ। দ্বিতীয় জন সফল।

ভিডিওটিতে মানকে বলতে সোনা যাচ্ছে- ” আমি এক রাজনীতিবিদকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, রাজনীতি মানে কী? তিনি আমাকে বলেছিলেন, কী ভাবে ‘রাজ’ করবেন তার নীতি সর্ব ক্ষণ বানিয়ে যাওয়ার নামই হল রাজনীতি। আবার আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তা হলে ‘গরমিন্ট’ (সরকার) মানে কী? ওই রাজনীতিবিদ তখন আমাকে বলেছিলেন, প্রতিটি বিষয় খুব ভাল করে (গর) দেখার পর এক মিনিট (মিন্ট) বাদে তা ভুলে যাওয়ার নামই হল গরমিন্ট!” কিন্তু তখন তিনি জানতেন না যে সেই রাজনীতিকেই পরবর্তীকালে বেছে নেবেন।