শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপের বর্ণনা দিলেও, ভয় পেয়েই সেদিন মুক্তি দিয়েছিলো উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান-কে
শান্তির পদক্ষেপ বলে বর্ণিত হলেও আদতে তা ছিল ভয়, খানিক চাপের মুখে পরেই ভয় পেয়ে অভিনন্দনকে মুক্তি দিয়েছিলো পাকিস্তান।

পল্লবী কুন্ডু : আজও মনে পরে সেই দিনের ঘটনা। দিনটা ছিল ২০১৯-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি। পাকিস্তানকে মোক্ষম জবাব দেয় ভারত। পাক এফ-১৬ বিমান গুলি করে নামান ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান(Wing Commander Abhinandan Varthaman)। কিন্তু পাক বিমানকে ধাওয়া করতে গিয়ে পাকিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে চলে যান অভিনন্দন। পরে ভারতীয় বায়ুসেনার এই অফিসারকে আটক করে পাকিস্তান। টানা ৫৮ ঘণ্টা পাকিস্তান তাঁকে কবজা করে রেখেছিল। ঠিক তার পরেই পাকিস্তান বুঝতে সক্ষম হয় যে অভিনন্দন-কে আটক করে রাখলে তাদের নিজেদের জন্যই পরিস্থিতি গরম হতে পারে। অন্যদিকে, ভারত বলেছিল কোনও শর্ত ছাড়াই নিরাপদে ফেরাতে হবে অভিনন্দনকে। ইমরান খান অভিনন্দনকে মুক্তি দিয়ে একে শান্তির পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেন।
তবে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েই যে এবার বেরিয়ে এলো অন্য তথ্য। শান্তির পদক্ষেপ বলে বর্ণিত হলেও আদতে তা ছিল ভয়। খানিক চাপের মুখে পরেই ভয় পেয়ে অভিনন্দনকে মুক্তি দিয়েছিলো পাকিস্তান। আর এ কথা শোনা যায় পাকিস্তানী সাংসদ-এর মুখেই। এদিন বুধবার জাতীয় সংসদে এক ভাষণে মুসলিম লিগ নওয়াজ নেতা আয়াজ সাদিক বলেন, অভিনন্দন বর্তমানকে ফেরানো হয়েছে প্রত্যাঘাতের ভয়েই। সেই সময় নাকি পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছিলেন, নির্দিষ্ট দিনে রাত ন’টার মধ্যে অভিনন্দনকে মুক্তি না দিলেই ভারত হামলা শুরু করবে, এমনটই দাবি করছেন পিএমএল-এন নেতা আয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যম দুনিয়া নিউজ সম্প্রচারিত ওই ক্লিপে দেখা যাচ্ছে সাদিক বলছেন, ইমরান খান সেদিন শাহ মহম্মদ কুরেশি এব চিফ অফ আর্মি স্টাফ কোমর জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠকে রাজি ছিলেন না। এই আর্মি চিফ বিশ্রীরকম ঘামছিলেন, তাঁর হাঁটু কাঁপছিল। শাহ মহম্মদ কুরেশি ওই বৈঠকে বলেন, ঈশ্বরের নামে অভিনন্দনকে ছেড়ে দিতে হবে। নাহলে রাত নটার মধ্যে ভারতীয় হামলা নেমে আসবে।
অভিনন্দন বর্তমান-কে আটক করতেই যে কার্যত ঘুম উড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের, তা আজ স্পষ্ট।