আপনার চুল আপনার সৌন্দর্য ? তাহলে জেনে নিন কিছু বিশেষ পরামর্শ
চুলকে সর্বদা সুন্দর রাখতে কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা চলুন জেনে নেওয়া যাক -

পল্লবী কুন্ডু : চুলে যেমন মেয়েদের সৌন্দর্য বাড়ে ঠিক তেমনি সেই চুলকে সুন্দর এবং সতেজ রাখতে কম কসরত করতে হয়না তাদের। আর নিজের চুলকে সর্বদা সুন্দর রাখতে বেশ কিছু নিয়ম নীতি মেনে চলা অতিআবশ্যক। সেক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন আসে যে এই শীতের সময় সপ্তাহে ঠিক কতবার শ্যাম্পু(Shampoo) করা উচিত ? কেই বলে একবার আবার কেউ বলে দুবার।
তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষের থেকে প্রতিটা মানুষ আলাদা। ঠিক তেমনি আর পাঁচজনের চুলের থেকে আপনার চুল আলাদা রকমের। এছাড়াও পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুর ওপরে আমাদের চুলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে তাই অন্যদের চুলে যা প্রয়োজনীয় আপনার চুলে সেই জিনিসের প্রয়োজনীয়তা নাও থাকতে পারে। তবে আপনি কেমন ভাবে আপনার চুলের পরিচর্যা করেন তার ওপরেই নির্ভর করে আপনার চুলের স্বাস্থ্য।
তবে চুলে শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে আপনি যদি ঘরেই থাকেন তাহলে সপ্তাহে দুবার চুলে শ্যাম্পু করলেই আপনার চুল ভালো থাকবে। কিন্তু যদি আপনি প্রতিনিয়ত জিম করে তবে সেক্ষত্রে আপনার চুলে সপ্তাহে দু’বারের বেশি শ্যাম্পু করতে হবে। জিম করলে আপনার শরীরে প্রচুর ঘাম হয়। সেই ঘামের নোংরা চুলে বসে চুল অপরিষ্কার থাকে তাই জিম করলে সপ্তাহে দুইবারের বেশি শ্যাম্পু করুন। এছাড়াও আপনার খাদ্যাভ্যাসের ধরনের ওপর নির্ভর করে আপনি সপ্তাহে কতবার শ্যাম্পু করবেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে চুল শুকনো হয়ে যায় তাই শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
তবে এখনকার শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার প্রায়ই সালফেট থাকে। এই সালফেট জাতীয় পদার্থ থেকে আপনারা দূরে থাকুন। সালফেট যুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেললে চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায় এবং চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। স্নানের সময় পরিষ্কার জলে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেললেও চুলের অনেক ধুলো ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়।
পাশাপাশি মাথায় কি তেল ব্যবহার করবেন তা নিয়েও একটা প্রশ্ন ওঠে। তবে তেল নিয়ে বেশি ভাবনা চিন্তার প্রয়োজন নেই। চুল যদি তেলতেলে হয়ে যায় তাহলে শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নেই কারণ চুলের গ্রন্থি থেকে প্রাকৃতিক ভাবে তেল নিঃসৃত হয়। শ্যাম্পু দিয়ে ওই প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে ফেলে তারপর অর্গানিক তেল ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই।
এই সবগুলিই হলো শুধুমাত্র একটি প্রাকৃতিক পরামর্শ। এরপর একজন ডাক্তার-ই বুঝতে পারবেন যে আপনার চুল কেমন, সেই অনুযায়ী হবে তার চিকিৎসা। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।