আজ থেকে খুলে গেলো রাজ্যের চিড়িয়াখানা গুলি, জারি রইলো নির্দেশিকা
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানায় প্রবেশের ই-টিকিট বুকিং।

পল্লবী কুন্ডু : করোনা পরিস্থিতিতে মাসের পর মাস বন্ধ থেকেছে বহু ক্ষেত্র। সকলেই সাধারণ জীবনে ফেরার চেষ্টা জারি রেখেছে। করোনা সতর্কতায় গত ১৭ মার্চ থেকে বনদফতরের অধীনে থাকা চিড়িয়াখানা, ন্যাশনাল পার্ক, ইকো টুরিজিয়াম সেন্টারগুলি বন্ধ রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ ৬ মাস পর কোভিড গাইডলাইন মেনে শুক্রবার সেগুলি খোলা হল।তবে খোলা হলেও বদলাচ্ছে নিয়ম-বিধি।৩০ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানায় প্রবেশের ই-টিকিট বুকিং। যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে, সমস্ত নিয়মবিধি পালন করা হয় সেই দিককে লক্ষ্য রেখেই এগোচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার দেখা গেল, প্রবেশপথেই দর্শকদের দেহের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। দর্শক প্রবেশের জন্য মাত্র দু’টি গেট খোলা রাখা হয়েছে। সেখানেই ই-টিকিট স্ক্যান করালে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যাবে। টিকিট নিয়ে চিড়িয়াখানার গেটে পৌঁছলে শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।যাতে ভেতরে চিড়িয়াখানার কর্মীরাও কোনোভাবে অসুস্থ হয়ে না পড়েন, পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকে চিড়িয়াখানার পশু-পাখিদের কথাও মাথায় রাখতে হবে।চিড়িয়াখানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘প্রথম দিনটা সিসিটিভির নজরে রাখা হবে সবাইকে। দর্শকদের ক্ষেত্রে যেমন কিছু বিধিনিষেধ থাকছে। তেমনই পশুপাখিরা এতদিন পর কে কীভাবে নতুন পরিস্থিতির মধ্যে আচরণ করে, তা দেখে পর্যালোচনা করা হবে। প্রয়োজনে আলাদা ব্যবস্থা হবে।’
পাশাপাশি বনদফতরের পক্ষ থেকেও জারি করা হয়েছে কিছু নির্দেশিকা।তাতে বলা হয়েছে,কলকাতা চিড়িয়াখানার ক্ষেত্রে ৫ হাজার ,বেঙ্গল সাফারির ক্ষেত্রে ৩ হাজার ,দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায় ২ হাজার এবং অন্যান্য যে ছোট খাটো চিড়িয়াখানা রয়েছে সেখানে ১ হাজার জন করে লোক ঢুকতে দেওয়া হবে।পাশাপাশি চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানার, সাফারি পার্কের ভ্রমণের নিয়মাবলী :
প্রথমত, কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখালে তবেই জঙ্গলে ট্রেকের অনুমতি পাওয়া যাবে। দ্বিতীয়ত, সাফারির ক্ষেত্রে কতৃপক্ষের তরফে জিপগুলি স্যানিটাইজ করে দেওয়া হবে।তৃতীয়ত, একটি ওয়াচ টাওয়ারে ২০ জনের বেশি লোককে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না।চতুর্থত, জিপ সাফারির ক্ষেত্রে একটি করে সিট ছেড়ে ছেড়ে বসতে হবে।পঞ্চমত, সমস্ত এন্ট্রির জন্য টিকিট কাটতে হবে অনলাইনে। কোনও ভাবেই টিকিটের টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না।ষষ্ঠত, ১০ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের উপরে কাউকে নিয়ে ভ্রমণ করলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং সর্বশেষ সপ্তমত, চিড়িয়াখানা এবং জাতীয় উদ্যান ও অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে যাওয়ার পর ১৫ অথবা ১৬ অক্টোবর নাগাদ একটি রিভিউ করা হবে। কোথাও কোনও নিয়মের পরিবর্তন দরকার আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
উপরিউক্ত সমস্ত নির্দেশিকা মেনেই আপাতত চলবে চিড়িয়াখানাগুলি।