এবার থেকে শুধুই নিরামিষ খাবার এর চলন সংসদের ক্যান্টিনে, মিলবে না আর আমিষ।

খাবারের মান ঠিক করতে, এবং সরকারি কোষাগারের পরিমান বাড়ানোর জন্য, সংসদের ক্যান্টিনের ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে বড় সির্ধান্ত।

@ দেবশ্রী : আর কোনো আমিষ খাবার নয়। এবার থেকে পুরোপুরিভাবে নিরামিষ হতে চলেছে সংসদের ক্যান্টিন। ফলত আর কোনো নিরামিষ খাবার পাওয়া যাবে না সেখানে। সংসদের ক্যান্টিনে বিখ্যাত খাবার হিসাবে ছিল, সেখানকার বিরিয়ানি, চিকেন কাটলেট, ফিশ অ্যান্ড চিপস। তবে আর সেই খাবার ক্যান্টিন এ পাওয়া যাবে না। জানা যাচ্ছে খুব শীঘ্রহী এই নিয়ম চালু হতে চলেছে সংসদের ক্যান্টিনে।

এর কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল খরচ কমাতে সংসদের ক্যান্টিনে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা হবে। কারণ সংসদের ক্যান্টিনে স্বল্প মূল্যে খাবার মেলার কথা অনেক সময়ই খবরে উঠে এসেছে। এতদিন ক্যান্টিনের দায়িত্বে ছিল আইআরসিটিসি। তবে জানা যাচ্ছে এবার তাদের হয়ত বিদায় জানানো হবে। কমানো হবে ক্যান্টিন বাবদ সরকারের দেওয়া ভর্তুকির পরিমাণও। তার বদলে এবার ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্বে বিকানিরওয়ালা বা হলদিরামের মধ্যে কোনও একটি বেসরকারি সংস্থা আসতে চলেছে। কারণ এই দুটি সংস্থাই সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার বিক্রি করে। তাই পার্লামেন্টের ক্যান্টিনের দায়িত্বে আর আমিষ পদ মিলবে না সেটা পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, সংসদের ফুড প্যানেলের অনুপস্থিতিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এই বিষয়ে চূড়ান্ত সির্ধান্ত নেবেন। খাবারের মান নিয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠায় আইআরসিটিসি-কে ক্যান্টিনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে এই নতুন সংস্থার পরে হয়ত, সংসদের ক্যান্টিনের খাবারের দাম খানিক কমবে। এবং ভর্তুকি উঠে গেলে বছরে ১৭ কোটি টাকা বাঁচবে সরকারি কোষাগারের।

Exit mobile version