যাক দেশের না হলেও বিদেশের পুজোর ঘন্ধেই মাতলো কুমোরটুলি

পল্লবী : “মা দুগ্গা তোমার জন্য অপেক্ষা করেই সারা তা বছর দিন গুনি। তুমি কি এতটাই রেগে আছো গো যে আমাদের কাছে আসবেনা ?” সব ক্ষুদেদের মনেই এখন একটাই কথা। আসলে আমাদের দূর্গা পুজো তো এমনিই যেখানে প্রত্যেকজন মানুষ মেতে ওঠে খুশিতে যেখানে কে গরিব আর কে বড়োলোক সত্যিই বড় হয়না। সকলের একটাই পরিচয় যে তারা মায়ের সন্তান। তবে এবছর কি হবে সেটা নিয়ে সবার মনেই একটা সংশয় চলছে। তবে এরই মধ্যে মূর্তি গড়ার মাটিতে হাত পড়লো কুমোরটুলিতে। আট ফুটের ফাইবারের দুর্গা কার্তিক,গণেশ, লক্ষ্মী,সরস্বতীকে নিয়ে রওনা হবেন জাহাজে চেপে। মা যাবেন সুদূর মেলবোর্নে। আর এর সাথে সাথেই পটুয়াপাড়ায় শরতের আমেজ ফিরে পেলো কারিগরিরা।

যে সমস্ত প্রবাসীরা গত বছর নভেম্বর, ডিসেম্বরে অর্ডার দিয়েছিলেন, সেই প্রতিমায় বিদেশে পাড়ি দেওয়া শুরু করছে সোমবার। শুধু মেলবোর্ন নয় জার্মানি, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইংল্যান্ডেও লকডাউনের মধ্যেই রওনা হবে মা দুগ্গা। তাই এখন চূড়ান্ত ব্যস্ত শিল্পী কৌশিক ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘অন্যবার প্রায় ৩০,৩২ টা প্রতিমা বিদেশে যায়। এবার তা কমে হয়েছে ৮ থেকে ১০ টা। যে অর্ডারগুলো ফেব্রুয়ারিতে আসার কথা ছিল, তার একটাও আসেনি। কারণ বিদেশে তখন করোনা মহামারীর আকার নিয়েছে। পরে তো আমাদের এখানেও।’ এবারের পরিস্থিতি আলাদা। তাই প্রতিমা প্যাকিংয়ের সময় মা দুগ্গাকেও ভাল করে স্যানিটাইজার মাখানো হচ্ছে। শিল্পীর কথায়, ‘আমরা যেখানে সারাক্ষণ হাত দিচ্ছি, স্যানিটাইজার লাগাচ্ছি। মা দুগ্গাই বা বাদ যাবেন কেন!’

তবে এই বছরে বিদেশ থেকে আসা অর্ডারের হালও ভালো নয়। আর যায় আসছে তা হয়তো হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীদের কাছেই। তাহলে বাকিদের কি হবে ? এটাই তো তাদের পেশা পুজো না হলে খাবে কি তারা। মা এতটাই কি পাষান হবেন ? না তা কখনোই হতে পারেনা। তাই আশ্বাস হারাবেন না। যিনি রোগ দেন তিনিই হরণ করেন। আর এই দুর্দিনে বাঁচার উপায় তিনিই বাতলে দেবেন।

Exit mobile version