স্টেট ব্যাঙ্কের টাকা তুলবেন কি ভাবে ? ডেবিট কার্ড তুলে দিচ্ছে এসবিআই !

গ্রাহকদের মাথায় হাত একই কি সিদ্ধান্ত ? চেয়ারম্যানের ঘোষণায় তোলপাড়, নগদ মিলবে কোথায় ? ফোনের পর ফোন কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না।

ব্যাঙ্কিং দুনিয়ায় বিপ্লব এনে দিয়েছিল ডেবিট কার্ড, লাইনে দাঁড়াতে হবে না , চলে যান মেশিনে সেখানে এই কার্ড দিলেই টাকা চলে আসবে হাতে নির্দিষ্ট প্রকৃত মধ্যে দিয়ে।
দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর অবসান ঘটিয়ে টাকা তোলার জন্য ব্যাঙ্কে গিয়ে । পেমেন্টস অ্যাপ দিয়ে যেন দেন করার ব্যাপারে ব্যাঙ্ক বেশি আগ্রহী। এই ডিজিটাল ব্যবস্থায় পরেও নগদ টাকা তোলার ক্ষেত্রে দীর্ঘ লাইন । সকলের প্রশ্ন কেন স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) এই ধরণের সিদ্ধান্ত নিলেন। এস বি আইয়ের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমারের এই সিদ্ধান্তের ঘোষণার পরই দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে।

ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ( ফিকি ) ও ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কিং অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ) প্রতি বছরই ব্যাঙ্কিং কনক্লেভ ‘ফাইব্যাক’-এর আয়োজন করা হয়। গতকাল মুম্বইয়ে এ বছরের সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রজনীশ কুমার।তিনি বলেন “আমরাডেবিট কার্ড তুলে দিতে চাই। এবং আমরা নিশ্চিত যে সেটা তুলে দিতে পারব।” . তিনি আরো বলেন যে আগামী পাঁচ বছরে পকেটে ডেবিট কার্ড রাখার প্রয়োজনই পড়বে না. এক লহমায় যে বিষয়টি কার্যকর হবে না, বরং ধীরে ধীরে এই পথে এগনো হবে.
এর পরেই ব্যাংকে আজ সকাল থেকেই তোর জোর কি হবে ? প্রাথিমিক ভাবে এই ডেভিড কার্ড ব্যবহারেও অনীহা ছিল গ্রাহকদের। তার পরে আসতে আসতে অভস্থ হয়ে উঠেছে। এসবিআই-এর এটিএম কার্ডধারী অ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় ৯০ কোটি।এমন হাজারও প্রশ্ন ভিড় করছে বিরাট অংশের গ্রাহকের মধ্যে। অন্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিও নজর রাখছে এসবিআই-এর এই সিদ্ধান্ত এবং তার প্রতিক্রিয়ার উপর।

তবে শহর জুড়ে ক্রেডিট কার্ড রয়েছে প্রায় তিন কোটি গ্রাহকের।
কী টাকা পাওয়া যাবে, তাই নিয়েই বিরাট দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গ্রাহকরা।
বর্তমানে যে এটিএম কাউন্টার রয়েছে, সেগুলির কী হবে?
আবার কি ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা তোলার লাইনে দাঁড়াতে হবে?
কিন্তু কার্ড বাতিল হলে বিকল্প কী ব্যবস্থা করবে এসবিআই?
কী ভাবে মিলবে নগদ টাকা?
ইওনো প্রযুক্তি তাহলে কী? ইতিমধ্যেই যা চালু রয়েছে।

ব্যাঙ্ক মারফত জানা যাচ্ছে এটি আসলে কার্ডলেস লেনদেনের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। যার মাধ্যমে এক দিকে যেমন কেনাকাটা থেকে শুরু করে যে কোনও পেমেন্ট বা মানি ট্রান্সফার করা যায়, তেমনই নগদ টাকাও তোলা যায়।
ব্যাঙ্ক থেকে দেয়া হবে গ্রাহকের দের একটি অ্যাপের দেওয়া হবে আর সেই অ্যাপের মাধ্যমেই যেন দেন হবে।

যে যাই বলুক যত সহজ হিসেবে দেখছেন, বিষয়টি অবশ্য ততটা কারণ, নিম্নবিত্ত, দারিদ্রসীমার নীচে থাকা গ্রাহকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এই এসবিআই-এরই রয়েছে। এবং সেই সংখ্যাটাও বিপুল। গ্রাহকরা এখনও এটিএম ব্যবহারই করতে পারেন না।আর ‘ইওনো’ও প্রায় না বোঝার মতোই। এআর সব মিলিয়ে ব্যাংকে ধুমধুমার অবস্থা। শেষে বলছে এত অচিন্ত এখনো হয়নি এই ব্যবস্থা , আগে হোক পরে দেখা যাবে। এই বলে যাহাকে নিষ্কৃতির পথ খুঁজলেও কাল কি হবে।

Exit mobile version