মিছিল রুখতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ! ছেলেটির মৃত্যুতে গাফিলতি সেই পুলিশ বাহিনীর ! গণতন্ত্র আজ ধ্বংসপ্রায়

আনিসের বাড়ির লোকেদের একটি কথা- কেন সিবিআই মোতায়েন করা হচ্ছেনা এই বেপারে ?

তিয়াসা মিত্র : মৃত্যুর আজ তিনদিন শেষ হলো। আনিস রহস্য মৃত্যুর কোনো কুলকিনারা পাওয়া গেলো না এখনো অব্দি। সেই রাতে পুলিশ-এর বেশে এসে আনিস খুন করা এবং তারপর পুলিশ-এর সেই কেস-এর প্রতি গাফিলতি প্রকাশ করা, সব কিছু মিলিয়ে আনিসের বাড়ি,পাড়া, তার কলেজ তথা গোটা রাজ্যের সিস্টেমকে নাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ হিসাবে কি বলা যায় ? আনিস এসএফআই-এর ছাত্র নেতা ছিল বলে ? নাকি রয়েছে অন্য কোনো কাহিনী ? এই কারণের হদিশ জানতেই আনিসের বাবার পুলিশ না সিবিআই-তে ভরসা প্রথম থেকে। অর্থাৎ রাজ্যের মানুষের রাজ্যের প্রশাসনের ওপর ভরসা আজ মলিন।

কলকাতার রাস্তা আজ দেখলো বহু দিন পরে আবারো সিপিএম-এর ছাত্র সংগঠনের আরো এক ঐতিহাসিক মিছিল। কলেজ পড়ুয়ারা আজ রাস্তাতে নেমে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলে তাদের মিছিল শুরু করে এবং গন্তব্য স্ত্রীর করে মহাকরণ। দেখা গেছে, সকাল থেকে পুলিশ বাহিনীও বিনা অস্ত্রে তাদেরকে নানা ভাবে সাহায্য করে গেছে বহু ক্ষেত্রে, যেটি পরবর্তীতে বোঝা যে যায় একটি ফাঁদ। মিছিলের জন্য রাস্তা স্থির হয় এক এবং সেই রাস্তাতেই পুলিশ মোতায়েন করে মিছিল আটকানোর জন্য বিশাল সংখক পুলিশ বাহিনী সাথে গার্ডরেল, জল কামান সব কিছু। কালক্রমে সেই খবর জেনে যায় ছাত্র দল এবং তারা পরিকল্পিত রাত্সার বিপরীতে হাটতে থাকে যা নাজেহাল করে পুলিশ বাহিনীকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রেনজরে আসে ধস্তাধস্তির চিত্র। তবে তারা এগিয়ে চলে তাদের গন্তব্যের দিকে। মহাকরণ যাওয়ার জন্য তারা কলেজ স্ট্রিটের রাস্তা ধরে যা পুলিশ বুঝতে পেরে তার পুরো সিস্টেম তুলে এনে মোতায়েন করে কলেজস্ট্রিটের পাঁচমাথার মোড়ে।

এরইমধ্যে প্রতিবাদকারীরা বুঝতে পারে তাদের পথ পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, তাই সেই পথ দিয়ে এগিয়ে এসে মুখোমুখি হয়ে সেই বিশাল পুলিশ বাহিনির। কোনো বিভাগ ছিল না সেখানে ? আইপিএস থেকে শুরু করে কনস্টবল- এমনকি ভলেন্টিয়ার, পুলিশ ছাত্রী সক্কলে। সাথে ৮-৯ টি প্রিজিওন গাড়ি এবং বাস. মিছিল রাখার সে এক রাজ্ কার্যের সমান প্রস্তুতি। বাহিনী চেয়েছিলো আলোচনার মাদ্ধমে বিষয়টি সামাল দিতে, তারা এও বলে আন্দোলন কারীর ২ জনকে তারা মহাকরণে তাদের দাবি জানাতে নিয়ে যাবেন কিন্তু মিছিলকে আর এক পায়ে এগোতে দেওয়া যাবে না। হুঁশিয়ারি থাকে, এক পা মিছিল এগোলে আটক করা হবে ছাত্রদের এবং জেলবন্দি করা হবে। কিছুক্ষনের স্থব্দতা। তারপর আবারো মিছিল এগোতে থাকে এবং পুলিশ এবার ধরপাকড় করা শুরু করে। শোনাও গেছে বহু ছাত্রছাত্রীৰ এটি জীবনের প্রথম মিছিল। যেখানে তারা একই সাথে পায়ে পা মিলিয়ে “আনিস রহস্য হত্যার প্রতিবাদে রাস্তাতে নামে “

বিষয়ে একটি, আন্দোলন রুখতে এতো পুলিশ কিন্তু ছেলেটির প্রাণ নেওয়ার পিছনেও পুলিশি বেস এবং তদন্তে পুলিশ-এর গাফিলতি। এই গোটা বিষয়টি সমস্ত মানব সমাজের কাছে প্রশাসনিক দৃষ্টান্তটি বোডে রেখে দিলে। মৃত্যুর পিছনে আসল কারণ পাওয়া যাচ্ছে না, আনিসের বাড়ির লোকেদের একটি কথা- কেন সিবিআই মোতায়েন করা হচ্ছেনা এই বেপারে ? তাহলে এর মধ্যে কি রয়েছে অন্য কোনো কাহিনী? রাজনৈতিক মহলেও পড়েছে এই বিষয়ে আলোড়ন। সর্বশেষ, গণতন্ত্র আজ বিপন্ন।

Exit mobile version