শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাতে শান্তির আবেশ শহরের কুমোর পাড়ার বক্ষে

বৃষ্টির ভ্রুকুটির মাঝেই পুজোর প্রতিমা কেনার ঢল কুমোরটুলিতে

তিয়াসা মিত্র : সপ্তাখানের আগে গোটা কুমোরটুলির চিত্র ছিল ধুঁধুঁ প্রান্তর। সরস্বতী প্রতিমার জন্য বায়না আসা তো দূর অস্ত্‌, যে ক’টি প্রতিমা আগেভাগে তৈরি করে রাখা হয়েছিল, সেগুলি আদৌ বিক্রি হবে কি না, সেই সংশয়ে ভুগছিলেন মৃৎশিল্পীরা। কিন্তু ঠিক সরস্বতী পুজোর আগেই স্কুল দরজা খুলে যাওয়াতে ভরা কোটালের আভাস পাচ্ছেন কলকাতার কুমোর সম্প্রদায়। স্কুলে স্কুলে সরস্বতী পুজো করা যাবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘৩ তারিখ স্কুল খুললে ছেলেমেয়েরা পুজোটা করতে পারবে।’’ সেই ঘোষণার পরেই দ্বিধা কাটিয়ে স্কুলে স্কুলে শুরু হয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। সেই সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে কুমোরটুলিতেও। যা সত্যি আবারো আশা জাগায় প্রতিটি শিল্পী প্রেমী মানুষের মনে।

মাস দেড়েক আগের চিত্রটা যদি আমরা একটু দেখি তাহলে কুমোরটুলি হয়ে পড়েছিল নির্জীবিত, বন্ধভুমির মতন। তবে এই সময়ের যে চিত্র কুমোর পাড়াতে তা সত্যি প্রাণোবন্ত এবং উদজীবিত। কুমোরটুলির একাধিক শিল্পীও জানাচ্ছেন, এ বার সরাসরি প্রতিমা কেনারই ঝোঁক বেশি। এ ছাড়া শেষ বেলায় বাড়ির পুজোর জন্য ছাঁচের প্রতিমার চাহিদাও রয়েছে। ছাঁচের প্রতিমার দাম মোটামুটি শুরু ৬০০ টাকা থেকে। তবে কাঠামো তৈরি প্রতিমার দাম শুরু হচ্ছে আড়াই-তিন হাজার টাকা থেকে। কুমোর পাড়ার এক প্রতিমা শিল্পী জানাচ্ছেন, ” সপ্তাহ তিনেক আগেও যা অবস্থা ছিল, তৈরি করে রাখা প্রতিমার কী হবে তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছিল। তবে স্কুল খোলায় একটু ভরসা পেয়েছি। আশা করছি, যা প্রতিমা বানিয়েছি, সেগুলি একটু কম দামে হলেও বিক্রি হবে।”

Exit mobile version