দেশের সুরক্ষার্থে ভারতীয় সেনাদের ডিলিট করতে হবে ৮৯টি অ্যাপ

ইন্টারনেট এখন সুরক্ষিত না, পাচার হচ্ছে তথ্য, মন্তব্য লেফট্যানেন্ট জেনারেল গৌতম মূর্তির

দেবশ্রী কয়াল : ইন্টারনেট এর উপর এখন প্রায় সারা দুনিয়া নির্ভরশীল। কিন্তু এই ইন্টারনেট যতটা ভাল, বর্তমান দিনে তা কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে হয়ে উঠছে ভয়ঙ্কর। এই মুহূর্তে ইন্টারনেট এর উপর উঠছে নিরাপত্তার প্রশ্ন। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভারত ও চীনের সংঘর্ষের পর, চীনের ৫৮ টি অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধিকরন করেছে ভারতীয় সরকার। এবার সেই সুরক্ষার স্বার্থেই, ভারতীয় সেনাদের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি করা হল যে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম সহ ৮৯টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ মুছে ফেলতে হবে তাদের ফোন থেকে। রাখা যাবে না কোনোরকম সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ। ডিলিট করতেই হবে তা নিজেদের ফোন থেকে, দেশের সুরক্ষার স্বার্থে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে আর সক্রিয় থাকতে পারবেন না ভারতীয় সেনারা। এমনই নির্দেশ পেয়েছেন তাঁরা। যদিও ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। যে যে সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট গুলি মুছে ফেলতে হবে কর্মীদের সেগুলির মধ্যে রয়েছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপ চ্যাট, হাইক, ট্রু কলার, টিনডারের মতো জনপ্রিয় অ্যাপ। বর্তমানে পাকিস্তান ও চীনের সাথে যে উত্তেজন্মায় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে, নিরাপত্তার প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। কারন বারবার উঠছে তথ্য চুরির অভিযোগ। আর তা আটকানো ভীষণ জরুরি। এর পরেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ হিসাবে অবসরপ্রাপ্ত লেফট্যানেন্ট জেনারেল গৌতম মূর্তির সাথে আমরা কথা বললে, তিনি বলেন, ” এই মুহূর্তে দেশের সুরক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইভাবেই যদি তথ্য চুরি করার অভিযোগ উঠতে থাকে তাহলে কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া বেশ ভয়ানক প্রমান হতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই প্রয়োজনীয়। বর্তমানে চীনের সাথে যে সম্পর্ক দাঁড়িয়েছে দেশের, তাতে সুরক্ষা নেওয়া আবশ্যিক। স্বভাবতই সে দেশ এই দেশের তথ্য জানতে সেনাদের ফোনে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করবেই তাতে তাঁদের ফোন এর সুরক্ষা সবার আগে। আর এখন তো সোশ্যাল মিডিয়ার সকল তথ্যই জানা যায়। আমরা যদি কিছু ফেসবুকে বা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতে থাকি, তার বেসিকে কিন্তু সকলের একটি প্রোফাইল তৈরী হয় আলাদা করে। আর এতো প্রাইভেসিতে উঁকি মারা বলেই। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এমন পদক্ষেপ খুবই প্রয়োজন ছিল। “

Exit mobile version