কংগ্রেসকে দুর্বল বানিয়ে এবার তৃণমূলে যোগ বাদুড়িয়ার বিধায়কের

ভোটের আগে একে একে যোগ হচ্ছে তৃণমূলে, শাসক দল তৈরী করছে নিজের হাতিয়ার

দেবশ্রী কয়াল : বিধানসভার ভোটের (Bidhansabha Election) প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রত্যেকটি দলই ক্ষমতায় আসার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমন সময়েই বাজিমাত করল তৃণমূল (Tmcp)। কংগ্রেস দলে দিল বড় একটা ধাক্কা। ভোটের আগেই কংগ্রেস(Conggress) ছেড়ে শাসকদলে যোগ দিলেন বাদুড়িয়ার অতি পরিচিত, জনপ্রিয় বিধায়ক কাজি আবদুর রহিম (Abdur Rahim)। আজ শনিবার তৃণমূল ভবনে এসে, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে তিনি হাতে তুলে নিলেন তৃণমূলের দলীয় পতাকা। আর তার সাথে সাথেই সাফ হয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনায় কংগ্রেসের সংগঠন। তিন কংগ্রেস বিধায়কের আর একজনও কেউ রইলেন না এই জেলাতে আর।

সৌমেন মিত্রের মৃত্যুর পর থেকেই অধীর চৌধুরি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর সংগঠনে রদবদল করেছিলেন। জেলাস্তরের অনেক দায়িত্বপ্রাপ্তদের সরিয়ে নতুন মুখ আনা হয়েছিল। আর তারপর থেকেই দলের অন্দরে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। উত্তর ২৪ পরগনা গ্রামীণের জেলা সভাপতি পদে ছিলেন বিধায়ক কাজি আবদুর রহিম। তবে অধীর চৌধুরি জেলাস্তরে রদবদল করতে গিয়ে তাঁকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সাধারণ সম্পাদকের পদে বসান। আর তাতেই তাঁর বিরাগভাজন হন বলে অন্দরের খবর। আর তারপরেই আজ তৃণমূল ভবনে পতাকা তুলে তৃণমূলে যোগদান করেন। দীর্ঘদিনের দল ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে আবদুর রহিম বলেন, বিজেপি বিরোধী লড়াইকে আরও বেশি জোরদার করে তোলার জন্যে তৃণমূলই সবচেয়ে বড় শক্তি।

উত্তর ২৪ পরগনার তিন বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস বেশ শক্ত ছিল। কিন্তু এদিন আবদুর রহিম তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আর একজনও কংগ্রেস বিধায়ক রইল না এই কেন্দ্রে। ফলে একুশের ভোটে সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেস জোট বাঁধলেও এই জেলায় লড়াইয়ের জন্য যোগ্য সৈনিক নেই অধীরদের হাতে। এ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কোনও প্রতিক্রিয়া অবশ্য এখনও পাওয়া যায়নি। অপরদিকে তৃণমূলের শক্তি বাড়িয়ে আরও দুজন যোগ দিয়েছেন আজ। বিজেপি মহিলা মোর্চা নেত্রী মৌমিতা বসু এবং আরেক বর্ষীয়ান কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতোর ভাইপো সিদ্ধার্থ মাহাতো ও যোগ দিয়েছে তৃণমূলে।

Exit mobile version