দুরন্ত কামব্যাক ! ‘বাজিমাত’ শুভমন-সিরাজের

প্রথম টেস্টের প্রতিশোধ সুদে আসলে তুললো টিম ইন্ডিয়া, বক্সিং ডে টেস্টে জয়ী ভারত

পল্লবী কুন্ডু : একটা ম্যাচ যে ভারতীয় দলের পরিচয় বহন করেনা তার প্রমান আজ দিলো জিংক্স বাহিনী। প্রথম টেস্টের প্রতিশোধ সুদে আসলে তুললো টিম ইন্ডিয়া(India)। ২২ গজের লড়াইয়ে যে যখন তখন দান বদলে যেতে পারে তা কারোরই অজানা নয়। এভাবেও ফিরে আসা যায়, একদিন বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরে অস্ট্রেলিয়ানদের স্পষ্ট বার্তা অজিঙ্ক রাহানে(Ajinkya Rahane)র দলের।

আজ ময়দানে রাজ করেছে এক তরুণ এবং এক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, শুভমন গিল এবং অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। তবে গিলের সাথেই নজর কেড়েছে আরো এক তরুণ খেলোয়াড় মহম্মদ সিরাজ। দুজনেরই দেশের হয়ে টেস্ট অভিষেক। প্রথমজন বক্সিং ডে টেস্টের মত বড় মঞ্চে ওপেন করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৪৫ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলারদের সামাল দিয়েছেন অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় সাথে কাজে লাগিয়েছেন দুর্দান্ত টেকনিক। আর দ্বিতীয় জন বল হাতে নিজের বিরাজমানতাকে তুলে ধরেছেন। দেশে হঠাত্‍ করে বাবার মৃত্যু, শোক বুকে চেপেও অস্ট্রেলিয়ায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত, সবকিছুর পুরস্কার পেলেন সিরাজ।

দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫ টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই তরুণ ক্রিকেটারের খেলায় মুগ্ধ প্রাক্তন তারকারা। সুনীল গাভাস্কার বলছেন,” সিরাজ অসাধারণ বল করল। দেখে মনে হয়নি ওঁর প্রথম টেস্ট। যখন ব্যাটসম্যান বাউন্ডারি মেরেছে, বা ওঁর বলে ক্যাচ পড়েছে, হতাশ হয়নি। দ্বিগুণ উত্‍সাহ নিয়ে ঝাঁপিয়েছে। একজন ফাস্ট বোলার হিসেবে যে সাহস থাকা দরকার সেটা দেখিয়েছে। বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের টানা চাপে রেখে গিয়েছে। হাত খোলার জায়গা দেয়নি। সব মিলিয়ে দাগ কাটল ছেলেটা”।

পাশাপাশি অজিঙ্ক রাহানে গিলের প্রশংসায় বলেন, “ওঁর প্রথম শ্রেণীর রেকর্ড আমাদের জানা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় এসে টেস্টে ওপেন করা এবং রান করা অনেক বেশি কঠিন কাজ। শুভমান দেখিয়ে দিল এই পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ নিতে ও তৈরি। দুটো ইনিংসে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। সিরাজ এবং গিল, এই দুই ক্রিকেটার নিজেদের অভিষেক ম্যাচে যেভাবে খেলল, আমি গর্বিত। ” কোচ রবি শাস্ত্রী জানিয়েছেন মেলবোর্নের এই জয় দেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা কামব্যাক হিসেবে লেখা থাকবে।

অন্যদিকে, দলের জয়ে অত্যন্ত উচ্ছসিত ভারত। ভারতের জয়ে কোহলির টুইট, ‘ওহ, কি দারুণ জয়! গোটা দলের অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল। এর থেকে বেশি খুশি হতে পারতাম না। বিশেষ করে জিংকসের জন্য। ও অনবদ্য নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জয়ে ফিরিয়ে এনেছে। এখান থেকে আমরা কেবল উন্নতিই করব।’

Exit mobile version