উড়ো চিঠিতে শিক্ষকরা দেশদ্রোহী : এ এক লজ্জার অনন্য কাহিনি, শিক্ষকরা তদন্তের মুখে পুলিশ থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার !
খিদিরপুরের নামী স্কুলের শিক্ষকরা আইএসআই চর ! কিংবা ফোর্ট উইলিয়ামের তথ্য ফাঁস করে বিদেশে ! বেনামি চিঠিতে অভিযোগ , আতঙ্কের সাথে অপমানিত ১৩ জন শিক্ষক। গুঞ্জন দুর্নীতি ঢাকতেই এই কাজ। সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

কেও বা কারা চিঠি লিখছে নবান্নে , কখনো বা ফোর্ট উইলিয়ামে , এখানে শিকরা আইএসআইয়ের চর। এছাড়াও অভিযোগ ফোর্ট উইলিয়ামের তথ্য ফাঁস করে বিদেশে। তার ফলে ছাত্র অভিভাবক থেকে শিকক পরিবাররা সকলেই চূড়ান্ত মানসিক অশান্তিতে আছেন।
কে বা করা আছে এর পিছনে , কেনইবা এই ধরণের চিঠি বার বার পাঠাচ্ছে।শতাব্দী প্রাচীন একটি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ‘জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত’! কেউ বা ‘আইএসআইয়ের চর’। কেউ বা ‘ফোর্ট উইলিয়ামের তথ্য ফাঁস’ করছেন। কেউ আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘খুনের ছক কষেছেন’! এই ধরণের অভিযোগের পিছনে কি কারণ, না স্কুলের অভ্যন্তরীণ কোন বিবাদ , না প্রোমোটার চক্র না রাজনৈতিক উদেশ্য। এটা বোঝা মুসকিল।
এ সব চিঠি নিয়েই কার্যত বিড়ম্বনায় পড়েছেন ওই স্কুলের ১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। শুধু তাই নয়, ‘পত্র বোমার’ জেরে তাঁদের কখনও পুলিশের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, কখনও বা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার।
খিদিরপুরের শিক্ষকরা অতিষ্ট , ইংরাজীর শিক্ষক ঋতুপর্ণ বসু। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে শুরু করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি, সিআইডি, কলকাতা পুলিশ, এমনকি রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে তদন্তকারী সংস্থাগুলি স্কুলে এসে জিজ্ঞাসাবদ করছেন। এই পরিস্থিতিতে আমরা আতঙ্কিত। কে বা কারা এই চিঠি দিচ্ছে, সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হচ্ছে না।”
আক্ষেপের সাথে ঋতুপর্ণবাবু জানান,” ওই স্কুলের এক ইংরেজি শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, তিনি নাকি পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা (আইএসআই)-র হয়ে কাজ করেন।” এনসিসি শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি ফোর্ট উলিয়ামের ভিতরের সব তথ্য প্রতিবেশী দেশে পাচার করছেন। প্রধান শিক্ষকই বা কেন ব্যাড থাকবে তিনিও নাকি জঙ্গি কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছে, প্রধান শিককের নাম শ্রীরূপগোপাল গোস্বামী।
গুঞ্জন চলছে কয়েক জন শিক্ষক ও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মিড ডে মিলে দুর্নীতি এবং তোলাবাজিরও অভিযোগও উঠেছে। তাই প্রতিকার চেয়ে ওয়াটগঞ্জ থানায় গিয়েছেন ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।কলকাতা পুলিশ তদন্ত করছে। ডিসি বন্দর ওয়াকার রাজা বলেন, ‘‘এই ঘটনায় কে কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’